- আবার সম্মাননা পেলেন কামাল আহমেদ
- দায় মুক্তি পেতে পারে না জামায়াত ঃতথ্যমন্ত্রী
- মুহম্মদ খসরু’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তথ্যমন্ত্রী
- শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে
- মনুনদ খনন না হলে আগামী বর্ষায় ১০ ফুট পানিতে তলিয়ে যাবে শহর ও আশপাশের গ্রাম
- নানা কৌশল অবলম্বন করতে পারে জামায়াত : তথ্যমন্ত্রী
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৩ জন
- বিদেশে দেশি অনুষ্ঠান শিল্পীদের মূল্যায়ন
- প্রেমের ঘরে সবই ফাঁকা, অন্তর ঘরে আমি একা
- মৌলভীবাজারে সুহৃদ সমাবেশের তিনদিন ব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন
» আন্দোলনকারীরা ষষ্ঠ দিন অবরোধ চালানোর পর কর্মসূচি স্থগিত করলেন
প্রকাশিত: ০৯. অক্টোবর. ২০১৮ | মঙ্গলবার

শাহবাগে আন্দোলনকারীরা ষষ্ঠ দিন অবরোধ চালানোর পর কর্মসূচি স্থগিত করলেন ।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবিতে তারা এই অবস্থান নিয়েছিলেন ।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান আন্দোলনকারীদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন সোমবার সন্ধ্যার পর ।
তার আগে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ ব্যানারের এই আন্দোলনের নেতৃত্ব মন্ত্রী শাহজাহান খানের হাতে তুলে দেন মঞ্চের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন।
এরপর শাহজাহান খানের উপস্থিতিতেই ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’র নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চ’ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন এই প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়্যারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খানকে; সদস্য সচিব করা হয়েছে পরিবহন শ্রমিক নেতা ওসমান আলীকে।
নতুন দুই নেতা চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। তাদের দাবি কিভাবে মানা যায়, সেই বিষয়ে নিজে উদ্যোগী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী শাহজাহান খান।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠিত কমিটির সুপারিশ মেনে মন্ত্রিসভা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গত ৩ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ গঠন করে শাহবাগে অবরোধ শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা আগের মতোই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ বহালের দাবি জানায়। তাদের পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা এবং নৃ-গোষ্ঠীর ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতেও শাহবাগে কর্মসূচি পালন করে প্রতিবন্ধী ও আদিবাসী সংগঠনগুলো।
তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সোমবার সেখানে উপস্থিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচির আপাত ইতি টানেন শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাহজাহান খান।
সদ্য বিলুপ্ত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক জামাল বলেন, “আমাদের আন্দোলনের সাথে যারা একাত্মতা জানাতে এসেছেন, তাদের হাতে আমরা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব তুলে দিলাম৷ তাদের নেতৃত্বে আমরা আমাদের দাবি আদায় করব ৷ তরুণ প্রজম্মের আন্দোলন এখন মুক্তিযু্দ্ধ চেতনা মঞ্চের হাতে দেওয়া হয়েছে।”
সদ্য গঠিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চের সদস্য সচিব ওসমান আলী বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে আমরা সারা বাংলাদেশে আন্দোলন গড়ে তুলব।
“আজকে আমরা ঐক্যের জন্য শাহজাহান খানের নেতৃত্বে এখানে এসে একাত্মতা ঘোষণা করছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব৷ আমরা দাবি না আদায় করে ঘরে ফিরব না।”
আন্দোলনকারীদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে শাহজাহান খান বলেন, “কয়েকদিন ধরে আমাদের সন্তানেরা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করছে৷ তাদের দাবিকে কিভাবে ধীরে ধীরে সফল করা যায়, তা নিয়ে আমরা বসেছি৷ কীভাবে রাজাকারের সন্তানদের নির্মূল করতে পারি, তা নিয়ে আমরা ভাবছি ৷
আগামী ১৪ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হবে বলেও জানান শাহজাহান খান। এ সময় তার পাশে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী রোকেয়া প্রাচী ।