২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
ক্যাসিনা ও জুয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সাহস আছে, অন্যায়কারীদের ধরার। সে যে দলেরই হোক ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি – এক কালো অধ্যায়, ভুলিনি এবং ভুলবো না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, আজ বিএনপির লোকেরা ক্যাসিনো নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। শেখ হাসিনার সাহস আছে অন্যায়কারীদের ধরার, সে যে দলেরই হোক। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, বিএনপি তাদের বাদ দেওয়ার সাহস করতে পারে না। যারা দুর্নীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে একমাত্র শেখ হাসিনাই অ্যাকশন নিতে পারেন। তিনিই পারেন বাংলাদেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে।
তিনি বলেন, দলের আরেকজন যিনি দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলাতক, তাকে দু’টো গালিও দিতে পারে না বিএনপি। শুধু বড় বড় কথা বলতে পারেন আপনারা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আমাদের শেখাবেন না। তার কারণ হচ্ছে আপনাদের নেতা থেকে শুরু করে, আপনাদের দলের প্রত্যেকের মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছে। আমরা আপনাদের বিচার করছি বলেই আজকে আপনাদের এতো চিল্লাচিল্লি।
আনিসুল হক বলবেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকেই বাঙালির স্বাধিকারের জন্য আন্দোলন করেছেন। বাংলাদেশে আরও অনেক নেতার কথা বলা যায়, কিন্তু সবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটাই পার্থক্য, তিনি কোনোদিন বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বাধিকারের প্রশ্নে আপস করেননি। তিনি লোভ-লালসার বশবর্তী হয়ে জনগণের কথা ভুলে যাননি। তিনি সবসময় দেশ ও দেশের মানুষের কষ্ট নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন, বাঙালিকে কখনোই কষ্ট দেননি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কর্নেল ফারুক ও রশিদ যখন জিয়াউর রহমানকে গিয়ে বলেন, তারা শেখ মুজিবকে হত্যা করতে চান, তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আমি তো করতে পারবো না, তোমরা করলে আমাদের অসুবিধা নেই। এটা খুনিরাই স্বীকার করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমানের আমলে কী হয়েছিল। আমরা দেখেছি আমাদের পিতা-মাতা কীভাবে অত্যাচারের শিকার হতেন। আমাদের লজ্জা ঢাকার জায়গা ছিল না- যখন খুনি রশিদ, খুনি ফারুক বক্তৃতা দিত ফ্রিডম পার্টির নামে। আমরা এসব দেখেছি। কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রজন্ম, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগুলো দেখেনি। তাদের এসব জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান করাচিতে শিক্ষিত ও খুনি খন্দকার মোশতাক পাকিস্তানের মোহে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হোক। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হলে জনগণ বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাবে ও আমরা পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি চলে যাবো। কনফেডারেশন না হোক, অন্তত সেকেন্ড পাকিস্তান হবে বাংলাদেশ- এটাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আইনের শাসন মানেন বলেই আইনের মাধ্যমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ যে একটি কালো আইন সেটা প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করিয়েছেন। ‘জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন তাদের বিচার হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। আমরা দেখেছি যত অন্যায় আছে সবকিছুর বিচার কিন্তু শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে,’ যোগ করেন আইনমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কালো দিবস পালন করার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সেই দিবস পালন করা এবং শেষ হবে ১২ নভেম্বর। ১২ নভেম্বর শেষ হবে কারণ ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইনটা বাতিল করা হয়।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেতা ড. এনামুল হক, আজিজুল হাকিম, রিয়াজ, আমিরুল হক চৌধুরী, মান্নান হিরা প্রমুখ।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com