১৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী নীলাকে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ না করার ব্যাপারে এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে পরিণাম ভালো হবে না ও গ্রাম ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একদল সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৯শে জুন) কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের টাইমলাইনে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাস হতে এ তথ্য জানা যায়। স্ট্যাটাসে রাশেদ খান বলেন,
“এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের নারী নেত্রীর উপর হামলা ও গ্রাম ছাড়া করার হুমকি:
১. গতকাল রাত ১১ টার দিকে আমাদের বোন নীলার বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা করতে গিয়েছিল। তারা প্রথমে পরিচয় দেয়, তারা পুলিশের লোক। তারা দরজা খুলতে বলে। কিন্তু নীলার মা বলে আপনারা সকালে আসেন, আমার বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। আমি এত রাতে দরজা খুলতে পারবো না। তারপর তারা দশ মিনিট যাবত দরজা ধাক্কাধাক্কি করে চলে যায়। তখন তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে।
২. এরপর সেই একই সন্ত্রাসীরা সকাল ৭ টার দিকে নীলাদের বাড়িতে আসে। তারা প্রথমে নীলাকে ডেকে বলে, কি ব্যাপার তুমি নাকি স্বাধীনতা বিরোধী আন্দোলনে যাও?
নীলা বলে, এটা স্বাধীনতা বিরোধী আন্দোলন নয়। এটা কোটা সংস্কার আন্দোলন। তারপর তারা বলেন, এসব আন্দোলন করা যাবে না।
নীলা তখন কোটা সম্পর্কে তাদের বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা নীলাকে মারতে উঠে আসে। তখন নীলা ভয়ে কাঁপতে থাকে। ওই লোকগুলো নীলাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
তারা নীলাকে বলে এসব আন্দোলন করলে গ্রাম ছাড়তে হবে, গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। এই গ্রামে বসবাস করতে হলে কোনো আন্দোলনে যেতে পারবা না।
৩. এসব চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসার কারণে তারা নীলাকে মারতে ব্যর্থ হয়। তারপরেও তারা নীলা ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে গেছে যে নীলা যদি আবার আন্দোলনে যায় তারা তাহলে তারা তাদেরকে দেখে নিবে, গ্রামছাড়া করবে, কপালে খারাপি নেমে আসবে ইত্যাদি।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল নীলাকে আঘাত করা, কিন্তু লোকজন হাজির হওয়াতে তারা তার করতে পারে না। তবে তারা হুমকি দিয়ে গেছে তারা আবার আসবে। .”
রাশেদ খানের এই স্ট্যাটাসের ব্যাপারে নীলার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বর্তমানে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি। এসময় যারা তাকে হুমকি দিয়েছে তাদের তিনি চিনেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নীলা বলেন, নীলা কখনোই তাদের গ্রামে দেখেনি। শুধু নিজেদের গ্রাম নয় আশেপাশের দু-চারগ্রামেও কখনো তাদের দেখেনি। তারা নিজেদের নীলার বাবার বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। অথচ নীলার ভাষ্যমতে তার মাও কখনো তাদের দেখেনি।
এব্যাপারে কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কি পদক্ষেপ নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ বলেন, এখন সবাই ঈদের ছুটিতে আছে। ঈদের ছুটি শেষ হলে কমিটির সবাই একসাথে বসে নীলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com