২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২০
দেশের বাইরে যেতে পারেনি সাহেদ, জানিয়েছেন র্যাবের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা । অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন , রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রতারণার ঘটনা কীভাবে ঘটল, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
রিজেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়েও আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এগুলো কী? কেমনে, কী করে?
রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে কোভিড-১৯ এর ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুঁজতেছে তো। হয়ে যাবে মনে হয়। তারও উচিত সারেন্ডার করা।
রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের দিন তাকে সাহেদের ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে বললো আমার ওটা তো সিল করছে। জবাবে বলেছিলাম, আমি তো জানি না।
কেন সিজ করছে? কেন সিল করছে? নিশ্চয়ই আপনি কিছু করেছেন। সাহেদ বলেছিল, আমাকে অ্যারেস্ট করলে? তখন বলেছি, সেটাও আমি কিছু বলতে পারব না।
এরপর সাহেদ আর কোনো ‘যোগাযোগ করেনি’ বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে র্যাবের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, তারা সাহেদকে গ্রেপ্তারে ‘সর্বাত্মক চেষ্টা’ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমাদের অভিযান সম্পর্কে কিছু বিষয় আছে, যা প্রকাশ করলে পলাতক আসামিরা সতর্ক হয়ে যাবে। যতটুকু তথ্য আছে তাতে দেশের বাইরে সে যেতে পারেনি।
তাকে গ্রেপ্তারে র্যাবের একাধিক টিম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, তারাও সাহেদের বিষয়ে খোঁজ-খবর করছেন। তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার ‘প্রমাণ পেয়ে’ গত সোম ও মঙ্গলবার র্যাবের একটি দল উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতাল এবং তাদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেয়। এই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়।
মামলায় কোভিড-১৯ রোগীদের পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, জাল জালিয়াতি, ভুয়া রিপোর্ট তৈরি, ভুয়া রিপোর্টকে খাঁটি বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোভিড- ১৯ রোগ সংক্রমণ বিস্তারে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় সাহেদসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনকে দুই দিনের অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। সাহেদসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com