২৮শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
গুরুতর অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর । পরিবারের সদস্যরা জানান, আগে থেকেই তার কিছু জটিল শারিরীক সমস্যা ছিল। এর মধ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আরও নতুন কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। দ্রুত তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শারিরীক অবস্থা এই মুহূর্তে সেরকম নেই। শাহ আলমগীরের রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্বজনরা। বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন বিওএমএ-র সাধারন সম্পাদক সৌমিত্র দেব বলেন , পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে মেয়াদ বৃদ্ধিতে আরেকবার শাহ আলমগীর তার যোগ্যতার স্বীকৃতি পেয়েছেন । তার সময়ে পিআইবির ইতিহাসে নজির বিহীন উন্নয়ন হয়েছে । পিআইবির আটতলা ভবন উদ্বোধন হয়েছে । সাংবাদিকতায় মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে ।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছেন ,অনলাইন নীতিমালার খসড়া প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন । সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্যও একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন । আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি ।
মো. শাহ আলমগীর ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। এর বাইরে মস্কো ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা ও থমসন ফাউন্ডেশন পরিচালিত সাংবাদিকতায় উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সেও অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— করাচিতে সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া আয়োজিত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিষয়ক কর্মশালা, ফিল্ম আর্কাইভস আয়োজিত ফিল্ম অ্যাপ্রিশিয়েসন কোর্স ও ভারতের গোয়ায় UNDP আয়োজিত ‘South Asian media and its role in attaining the Millennium Development Goal’ শীর্ষক সম্পাদকদের কর্মশালা।
শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা পেশার শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদে। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনাব আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘চাদের হাট’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।
পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com