২৬শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২০
মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবালা ইউনিয়নের আতানগিরি এলাকার বুরুতলা নামক স্থানে আলোচিত পুলিশ-ডাকাত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্য আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক এসআই জিয়াউল ইসলাম, সহকারি উপপরিদর্শক এএসআই কুরবান আলীসহ সাহসী পুলিশ কর্মকর্তাদের গণসম্বর্ধনা দিয়েছে কাগাবালা ইউনিয়ন পরিষদ।
বুধবার (১১ মার্চ) বিকাল ৫ দিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনের মাঠে এই গণসম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমন মোস্তফার সঞ্চালনায় গণসম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) আলমগীর হোসেন, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি,ওসি তদন্ত পরিমল চন্দ্র দেব, আমতৈল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজিত দাশ, কাগাবালা ইউনিয়নের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জিয়াউল ইসলাম, এসআই হুমায়ুন কবীর ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহমদ,এসআই আবু সাইদ, এসআই রনেশ ভট্রাচর্য্য, এসআই নূরুল ইসলাম, এস আই তোফাজ্জল, এস আই ইফতেখার আলম, এএসআই কোরবান আলী, এএস আই খাজা মাইন উদ্দিন, এএসআই মুহিবুর রহমান প্রমুখ।
গণসম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে পুলিশের পক্ষ থেকে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চোর-ডাকাত ও মাদক ব্যসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চুরি,ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা ছেড়ে না দিলে তাদের কোনভাবে ছাড় দেয়া হবেনা ’’হয় তারা থাকবে না হয় আমরা থাকবো।
তিনি বলেন, সেদিন ১০ জন কন্সটেবল ও পুলিশের সাহসী কমকর্তা এসআই জিয়াউল ইসলামকে সাথে নিয়ে অফিসার্স ইনচার্য আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ হিট পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ডাকাতদের গতিরোধ করতে সক্ষম হয়। তখন পুলিশ জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুখোমুখি ডাকাতদের বন্দুকের মোকাবেলা করে। এজন্য আমি অহঙ্কারবোধ করি এধরনের সাহসী অফিসারদের নিয়ে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন ডিজিটাল মাধ্যমে ডাকাতির খবর পাই সাথে সাথে পুকুরে যেভাবে জাল ফেলা হয় সেভাবে ডাকাতদের ধরতে নেটের জালের মত প্রতিটি পয়েন্টে ফোর্স মোতায়েন করি। আমরা মুটামোটি নিশ্চিত ছিলাম যে ডাকাতরা কোন সড়ক দিয়ে যেতে পারে । এজন্য আমরা বুরুতলা নামক স্থানটিকে ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেই এবং আমরা ঐ টার্গেটে সফলও হই।
অনুষ্ঠান শেষে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্রেষ্ট ও ফুলের তোরা দিয়ে সম্বর্ধিত করা হয়।
উল্লেখ্য: গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের ছালিক বেগ মাস্টারের বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ এমন সংবাদ পেয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান ও মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১২জনের সংবদ্ধ ডাকাতদলের পিছু নেয় পুলিশ ।
একপর্যায়ে ডাকাতরা দুটি সিএনজি অটোরিকশা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কাগাবালা ইউনিয়নের বুরুতলা গ্রামে পৌঁছলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাতদলের সর্দার দুলু মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ঘটনার সময় অন্ধকার থাকায় অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com