২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০১৮
শামীম আরা জামান
একজন লেখক যখন লিখেন, তা হয় ভালোবাসার ফসল,ভালোলাগার জায়গায় দাঁড়িয়ে লেখেন।তাকে যে কিছুই খরচ করতে হয় না তা কিন্তু নয়। সেখানে মানসিক নৈপুণ্যতা খরচের ব্যাপারটি আছে যেটাকে কোন আর্থিক মানদন্ড দিয়ে বিচার করা যায় না।তাই বলে লেখাকে ছোট করে দেখার কোন কারণও নেই। সব লেখকের লেখা সব পাঠকের ভালো লাগবে তাও নয়।আগে বই কেনার পর পড়ে লেখকের লেখার পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারটি ছিল।
এখন এই যন্ত্র সভ্যতার যুগে আমাদের সু্যোগ তৈরি হয়েছে।আমরা পড়ছি অনেক নতুন লেখকের পড়া। আর যাদের লেখা পছন্দের একটা জায়গা করে নিয়েছে পাঠক হৃদয় এ, তালিকায় তো তা থাকছেই।প্রতি বছরই বই মেলায় নতুন নতুন লেখকদের বই আসে। এবারও এসেছে। সবার টা সবাই কিনতে পারে না,সেটা সম্ভবও নয়।লেখক উৎসাহিত হয় যখন দেখে তাকে খুঁজে নিয়ে তার পরিচিত হাজার মানুষের মাঝে অন্তত২০-২৫জন বই সংগ্রহ করে। বাকীটা হয় বন্ধু, আত্মীয়, কিংবা তাদের মেলামেশার পরিমন্ডলের লোকজন।
বই কেনা পাঠক নির্ভর।
আমার স্বজন, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীদের
বলছি বই মেলায় যেয়ে ক’জন আপনার আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত এমন কেউ যার এবার প্রথম বইটি মেলায় এসেছে , বইটি হাতে নিয়ে দেখেছেন? বলতে পারবেন না। কারণ এখন আমরা বই পড়ার চেয়ে মেলায় যেয়ে সেল্ফি তুলতে ব্যস্ত, খাওয়া নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। পোশাক নিয়ে সতর্ক। একই পোশাক যদি এর আগে কেউ দেখে থাকে কেমন হবে ব্যাপারটি! আবার এমন অনেকে আছেন যারা মেলায় যান অথচ বই কেনেন না শুধু কারো সাথে দেখা করার জন্য, কিংবা আড্ডা দেবার জন্য অথবা যানজটের কারণ দেখিয়ে মেলায় যানই না। তাই বলে বললবো না বই প্রেমী মানুষ নেই, আছেন যারা অন লাইনে অর্ডার করে বই নিচ্ছেন। আবার এমন পাঠক ও আছেন হয়তো ২/৪টি বই কেনার সামর্থ্য নেই অথচ বই পড়তে ভালোবাসেন।মেলায় তাদেরও দেখা মিলছে স্টলে দাঁড়িয়ে অনেকের বই এর কিছুটা অংশ পড়ে নিচ্ছেন।শ্রদ্ধা সেই সব বই প্রেমীদের জন্য।
আবার এমন অনেকে আছেন যারা মেলায় যান অথবা যানজটের কারণ দেখিয়ে বিরত থাকেন আবার এমন অনেক পাঠক আছেন যারা একটি বছর অপেক্ষায় থাকেন কবে ঘুরে আসবে ফেব্রুয়ারি মাস, প্রাণের মেলার মাস।
যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। বই পড়ার ব্যাপারটিও তাই।যারা বই প্রেমিক তাদের জন্য মেলা সত্যিকার অর্থে প্রাণ।না হয় এমন মেলার আয়োজন হতো না প্রতিবার।
অমর একুশে গ্রন্থ মেলায়, কিছু মা বাবা নিয়ে যাচ্ছেন ঘুরাতে। যেতে যেতে শিশুদের প্রশ্ন মেলায় প্রবেশের আগে কিছু ছবি, ব্যানারে কিছুটা তথ্য তুলে ধরার চেস্টা করা হয়েছে।যারা জানেনই না একুশ কি, বাহান্ন এর ইতিহাস তারা কি জবাব দেবেন তাদের সন্তানদের। একেবারেই লিখতে পড়তে জানেন না এমন মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। আমরা সেই অর্থে কিছুটা এগিয়েছি। কিন্তু স্ব শিক্ষায় শিক্ষিত কতজন?
অন্য এবং অনান্য জাতির চেয়ে আমাদের
রয়েছে গৌরবের ইতিহাস। আমাদের ভাষা, আমাদের দেশ কারো দানে পাওয়া নয়, অনেক রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আমাদের প্রাণের ভাষা, আমাদের এই দেশ।শুধু বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বললেই হবে না, মনে প্রাণে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থাকতে হবে, থাকতে হবে সত্যিকারের দেশপ্রেম।আসুন আমরা এই প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাই, বই পড়তে উৎসাহিত করি।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com