শিশু হাসপাতাল আইনএর খসড়া অনুমোদন মন্ত্রীসভায়

প্রকাশিত: ১১:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০

শিশু হাসপাতাল   আইনএর খসড়া  অনুমোদন মন্ত্রীসভায়

শিশুদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন প্রদান করা হয়।
‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে একুশটি ধারা সম্বলিত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন-২০২০ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে,’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৭ সালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি পরিচালনায় এতদিন কোন আইন ছিল না, বরং পূর্বের একটি অধ্যাদেশ অনুযায়ীই এটি চলছিল।
‘কাজেই হাসপাতালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উক্ত অধ্যাদেশের আলোকে একটি পুর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ণের জন্যই খসড়াটি অনুমোদন করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি। এই হাসপাতালে দরিদ্র এবং অসচ্ছলদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রি পরিষদ সচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, এই আইনের মাধ্যমে ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালিত হলে সর্বস্তরের শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে হাসপাতালটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, উক্ত আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রশাসন সার্বিকভাবে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ওপর ন্যাস্থ থাকবে। এ লক্ষ্যে সরকার একজন চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করবে।

সচিব বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মনোনীত সদস্যগণ তাঁদের মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। এছাড়া একজন পরিচালক থাকবেন যিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এই আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়া ও অনুমোদন করেছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্ব সংস্কৃতির মেলবন্ধনকে জোরালো করার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে এবং ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন- এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ এবং কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে চারুকলা, শিল্পকলা, শিল্প সংস্কৃতি ও সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উভয় দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধকরণ এবং সামগ্রিকভাবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সচিব বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সাংস্কৃতিক চুক্তির ধারাবাহিকতায় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে অতি প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে কোন ধরনের ভাইরাস স্ক্রিনিংয়ে সক্ষম এক ধরনের বিশেষ প্রযুক্তি শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে প্রদানের প্রস্তাব করেছে কোরিয়া সরকার (দক্ষিণ কোরিয়া)।
তিনি বলেন, এই নতুন প্রযুক্তি দেশের বিমানবন্দরগুলোতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করার জন্য স্থাপিত প্রযুক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে সংযুক্ত হবে। কোরিয়া সরকার লিখিতভাবে এখনও এই প্রস্তাব করেনি। অনুষ্ঠানিক পত্র পাওয়ার পর বিষয়টি বিশদভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
এছাড়াও, গত ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ এবং ‘জায়েদ সাটেইনেবিলিটি এওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং তাঁহার সভাপতিত্বে ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ আয়োজন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930