২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৯
চট্টগ্রামে মসজিদ থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। ওমর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শুক্রবার এ তথ্য জানান বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার ।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আবু দারদা, হাফেজ তারেকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ওই মাদ্রাসার ছাত্র মো. হাবিবুর রহমানের লাশ উদ্ধারের পর দুই দিন পার হতে চললেও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি আতাউর রহমান।
নগরীর ওয়াজেদিয়া এলাকার ওমর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মসজিদ থেকে বুধবার রাতে হাবিবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেছে । কিন্তু তা নিয়ে সন্দেহ আছে ছেলেটির পরিবারের।
১১ বছর বয়সী হাবিব ওই মাদ্রাসার হেফজ শ্রেণিতে পড়ত। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়ায় তাদের বাড়ি।
তার বাবা আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীতে অটো রিকশা চালান। পরিবার নিয়ে থাকেন শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায়। তবে হাবিব মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকেই লেখাপড়া করত।
আনিসুর রহমান শুক্রবার সকালে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমার ছেলেকে দিঘীনালায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। আমাকে থানায় যেতে বলেছেন ওসি। থানায় গিয়ে দেখব তারা কী বলেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনিসুর বলেছিলেন, তিন-চারদিন আগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ তারেক মারধর করলে হাবিব বাসায় চলে যায়। পরে তাকে বুঝিয়ে মাদ্রাসায় ফেরত পাঠানো হয়।
‘বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর হাফেজ তারেক ফোন করে আমাকে বলে, হাবিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। মাদ্রাসা থেকে এ খবর পাওয়ার পর বাসায় খবর নিয়ে জানতে পারি সে সেখানে আসেনি। পরে রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবু দারদা আমাকে মোবাইলে ফোন করে ছেলের আত্মহত্যার খবর দেন।
কিন্তু রাতে ওই মসজিদের চতুর্থ তলায় জানালর গ্রিল থেকে হাবিবের লাশ যেভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছেন, তাতেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে বাবার মনে।
তিনি বলেছেন, হাবিবের একটি হাত গ্রিলের ভেতরে ছিল, পা মাটির সাথে লাগানো ছিল। বাম পায়ের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পুলিশের দেওয়া বর্ণনা আর ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতেও একই চিত্র দেখা গেছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেখে এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন আনিসুর।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com