যুব গেমসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০১৮

যুব গেমসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

যুব গেমসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের খেলাধুলায় নতুন সংযোজন হল। এত দিন আয়োজনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ গেমসই ছিল দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর। অনুর্ধ-১৭ বছর বয়সী এ্যাথলেটদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ গেমস। গেমসের প্রথম আসরকে স্মরণীয় করতে চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় জমকালো এ গেমসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী । বাসস জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও আসন গ্রহণের পর জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সংগীতানুষ্ঠান সাড়ে ৫ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত চলে ডিজে শো। এরপর মাঠে প্রবেশ করবে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা। ডিসপ্লে বোর্ডে প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশের খেলাধুলার বিভিন্ন সাফল্য নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল দর্শকের জন্য উন্মুক্ত।
জাতীয় সংগীতের পর ছিল অংশগ্রহণকারী আট দলের ক্রীড়াবিদ ও কোচদের মার্চপাস্ট। প্রথমে বরিশাল বিভাগের প্রতিযোগিরা। এরপর চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সর্বশেষ সিলেট বিভাগের প্রতিযোগিরা মার্চপাস্টে অংশ নেন। এসময় ডিসপ্লে বোর্ডে প্রতিটি বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ প্রদর্শিত হয়। মার্চপাসেটর পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। এরপর বক্তব্য রাখেন গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে প্রথম যুব গেমস আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রথম যুব গেমস আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ।’
যুব গেমসে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেকেই হয়তো প্রথম রাজধানীতে এসেছে। খেলাধূলার মাধ্যমে একদিন অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবে। যুবদের খেলাধূলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লে¬খ করে তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চাও করতে হবে। খেলাধূলা নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যাবসায়, দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা শেখায়।’ খেলাধূলার মাধ্যমে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস দূরীকরণ করে সুন্দর সমাজ গঠনের উপড় গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এএফসি অ-১৪ আঞ্চলিক নারী চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সাফ অ-১৫ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্রিকেটে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এক দিন আমরা বিশ্বকাপ জয় করবো। যুব পর্যায়ে খেলাধূলার প্রতি সরকারের মনোযোগ রয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বঙ্গমাতা-বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট আয়োজন। যুব সমাজের জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণেরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আরো বি¯তৃত করার পরিকল্পনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী, শুধু ঢাকা নয়। আরো কয়েকটি জেলায় আমরা ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব।
সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জ্বালানো হয় গেমসের মশাল। কমনওয়েলথ গেমস ও এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী শ্যুটার আসিফ হোসেন খান প্রজ্বলন করেন গেমস মশাল। মাঠে মশাল প্রজ্বলন করলেও লেজারের মাধ্যমে তা চলে উত্তর গ্যালারীর মশাল স্টান্ডে। মশাল প্রজ্বলের পরই মাঠ ত্যাগ করে গ্যালারীতে বসেন ক্রীড়াবিদরা। বেজে ওঠে থিম সং। মাঠে প্রবেশ করে গেমসের মাসকাট তেজস্বী (ব্যাঘ্র শাবক)। এরপর প্যারেট, নাচ-গানের মাধ্যমে পারফরমাররা ফুটিয়ে তোলেন দেশের নানা ঐতিহ্য। সাবিনা ইয়াসমিন শুরু করেন একটি বাংলাদেশ… তুমি আমার অহংকার দিয়ে। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে ছিল বিভিন্ন প্রদর্শনী। ডিসপ্লে বোর্ডে উঠে আসে ’৫২ ভাষা আন্দোলন, মুত্তিযুদ্ধ, ৭ই মার্চের ভাষণ, যুদ্ধ পরবর্তী দেশের পুর্নগঠন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অর্জন, খেলাধুলায় বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় সাত মিনিটের লেজার শো, পাইরো ও আতশবাজির মধ্যে দিয়ে।

লাইভ রেডিও

Calendar

March 2024
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31