২৮শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:১২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯
Imam Uddin
সকালে ঘুম থেকে উঠে টিভির স্ক্রলে দেখি রাজা নেই। এরপর রাজার মৃত্যুর খবর নিয়ে ফেসবুকে সাংবাদিক বন্ধুদের একের পর এক পোস্ট। রাজা আমার একজন ভাল বন্ধু ছিলেন। ছিলেন একজন ভাল সাংবাদিকও।
সফিউল আলম রাজার মৃত্যুতে যাঁর পোস্টটি আমার মনে বেশ দাগ কেটেছে সেটি সিনিয়র সাংবাদিক Sanaullah Lablu ভাইয়ের। তিনি লিখেছেন, গত কয়েকবছরে যে ক’জন তরুণ সাংবাদিক হওয়ার আকাঙ্খা নিয়ে আমার কাছে এসেছে, সবাইকে নিরুৎসাহিত করেছি। স্পষ্ট করেই বলেছি, সাংবাদিকদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এদেশে। ক’বছর পর ভাত-কাপড়ও জুটবে না। মরে গিয়ে বেঁচে গেলেন সাংবাদিক, লোক সংগীত শিল্পী রাজা!
রাজা ভাই বেশ কিছুদিন আগে আমাকে লিখেছিলেন, “ভাই আমাকে কানাডায় নিয়ে যান।” সেদিনই বুঝেছি তাঁর মনে কত কষ্ট, দুঃখ। সাংবাদিকতায় তিনি টিআইবি’র অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার, ডেমোক্রেসি ওয়াচ হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড, ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
কিন্তু এতো মেধাবী একজন সাংবাদিকের যদি এ অবস্থা হয়, বাকিরা কী অবস্থায় আছে তা বুঝতে কষ্ট হয় না। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনো পুলিশ, কখনো সরকারি দলের কর্মীদের হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা। সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কঠোর সমালোচনা ও প্রচ্ছন্ন হুমকির ঘটনায় গণমাধ্যমে স্বনিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনাও বাড়ছে। চাকুরীর নিরাপত্তা নেই অনেকেরই।
অনেক পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড দেয় না। এ জন্য শুধু সাংবাদিকদের বিভক্তিই দায়ী নয়, রয়েছে আরও অনেক কারন। এখন সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান দুর্বলতা করপোরেট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপনদাতা, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সাংবাদিকতা বন্দি হয়ে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থান সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার গতি প্রকৃতি বদলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সালে পরিচালিত সাংবাদিকতার ওপর এক গবেষণায় ফলাফলে দেখা যায় ৬০ শতাংশ লোকই সংবাদের জন্য এখন মাইক্রোব্লগ আর সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com