২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০
শুক্রবার থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে শুরু হচ্ছে তাবিলগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার তিন দিনের প্রথম পর্ব । এর ৫ দিন পর ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
ইজতেমায় অংশ নিতে আসা দেশি-বিদেশি লাখ লাখ মানুষের যাতায়াত সুশৃঙ্খল রাখতে রাজধানীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গাড়ির পার্কিং ও যান চলাচল বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
যানবাহন পার্কিংয়ের বিভাগভিত্তিক ব্যবস্থার কথা জানিয়ে রেইনবো ক্রসিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগাম বিভাগের পার্কিং: গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরিবে নেওয়াজ রোড)
ঢাকা বিভাগের পার্কিং: সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত
সিলেট বিভাগের পার্কিং: উত্তরা ১৫ নং সেক্টর খালপাড় থেকে দিয়াবাড়ি গোলচত্ত্বর পর্যন্ত
খুলনা বিভাগের পার্কিং: উত্তরা ১৭ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (প্রধান সড়কসহ)
রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের পার্কিং: প্রত্যাশা হাউজিং
বরিশাল বিভাগের পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিংসংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
ঢাকা মহানগরের পার্কিং: উত্তরার শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা।
ডিএমপি বলেছে, যানবাহন পার্কিংয়ের চালক/হেলপারকে গাড়িতে থাকতে হবে। মালিক ও চালক পরস্পরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়।
ইজতেমার দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণী, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের লুপ-২, ধউর ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮নং সেক্টরের প্রবেশ মুখ থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিকল্প চলাচলের পথনির্দেশ
আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং থেকে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব যানবাহন মহাখালী ক্রসিং থেকে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।
কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলোকে হোটেল রেডিসন গ্যাপ থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হবে।
কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশাগুলোকে নিকুঞ্জ-১ নম্বর গেইটের সামনে থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হবে।
প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করবে।
শুধু বিমান অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার পারবে।
এছাড়া সব যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়কের বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
আখেরি মোনাজাতের দুই দিন ভোর ৪টা থেকে বিদেশগামী বা বিদেশফেরত যাত্রীদের নিকুঞ্জ-১ গেইট থেকে বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দুটি মিনিবাস ও দুটি মাইক্রোবাস বিনামূল্যে পরিবহন সেবা দেবে।
ট্রাফিক সম্পর্র্কিত যে কোন তথ্যের জন্য ০১৭১৩৩৯৮৪৯৮ (সহকারী পুলিশ কমিশনার, উত্তরা ট্রাফিক জোন), ০১৭১৩৩৯৮৬৭৯ (সহকারী পুলিশ কমিশনার, এয়ারপোর্ট ট্রাফিক জোন) ও ০১৭১৭৬৬৮১১৮ (টিআই, উত্তরা ট্রাফিক জোন, জনাব সিদ্দিক-উর রহমান ভুঞা) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রয়োজনে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক প্রধান বেনজির আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বেনজির বলেন, “বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ঝুঁকি নেই। এরপরও আমরা সতর্ক রয়েছি। কোথাও কোনো ঝুঁকি প্রতীয়মান হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন মোকাবেলা করতে পারি সে ব্যাপারে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”
ইজতেমা ঘিরে নিরাপত্তার জন্য তুরাগ নদীতে স্পিডবোট ও আকাশে হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাবপ্রধার বলেন, “আমাদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি যেমন থাকবে তেমনি ডগ স্কোয়াড নিয়ে টহল থাকছে। ইজতেমাস্থলের ভেতরে-বাইরে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল নিয়োজিত থাকবে।
“আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসবের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়, মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়, যার কারণে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে; ক্ষতি হতে পারে।
এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৭টি দেশ থেকে বিদেশিরা এসেছেন বলে তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সাথে দুই গ্রুপেরই যোগাযোগ আছে। প্রত্যেক গ্রুপের নিজ দায়িত্ব আছে। এক গ্রুপের কাছ থেকে আরেক গ্রুপের দায়িত্ব হস্তান্তর যেন শান্তিপূর্ণ হয় সে ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com