২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করছেন মডেল নাফিসা কামাল ঝুমুর । সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আজ কদিন ধরেই মেয়ে ও মা দুজনেই অসুস্থ। আমি এখন মায়ের বাসায়। মায়ের সর্দি জ্বর আর মেয়েরও কাশি জ্বর আর নাকের পানির বন্যায় একাকার। এর উপর গতকাল থেকে আমারও শুরু হলো জ্বর জ্বর ভাব । বিষয় টাকে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে রেগুলার কাজ কর্ম করতে লাগলাম। ফলাফল মাঝরাতে প্রচন্ড জ্বর। এত জ্বর যে চোখ খুলতে পারছিলাম না। অবশেষে ভোর রাতে প্রচন্ড কান্নাকাটি র শব্দেচোখ খুলে দেখি ইনায়া কাঁদতে কাঁদতে গড়িয়ে বিছানা থেকে পড়ে মশারীর মধ্যে অলমোস্ট ঝুলতেছে। শব্দ শুনে আম্মু ঘুম ভেঙ্গে দৌড়ে আসে আর ওকে তুলে জড়িয়ে ধরে আর আমাকে ওষুধ পথ্য খাওয়ায়।তখনও আমার হাত পা নাড়ানোর শক্তি টুকু নাই।
যার নেপথ্যে এ কাহিনী বলা..আমার কন্যা জন্মলাভের পর থেকে এই ভয়টা নিয়েই আমি সবচেয়ে বেশী কুঁকড়ে থাকতাম। যদি কোনোদিন আমার কিছু হয়ে যায়, কোনো দুরূহ রোগ এসে বাসা বাধে, ঘুমের ঘোরে যদি অচেতন হয়ে যাই তাহলে ওর কি হবে??? নেহায়েত কান্নার শব্দ ছাড়া ওর যে অসুবিধা বোঝানোর মত আর কিছু নেই,, আর তখনই যদি আমি সাড়া দিতে ব্যর্থ হই??? আমার অবুঝ সন্তানটি যে শুধু আমার উপরই নির্ভরশীল।
তখন মনে হয় আমি চাইলেও এখন আগের মতো কেয়ারলেস চলতে পারবো না, যখন খুশি তখন বৃষ্টিতে ভিজতে পারবো না, সন্ধ্যার সময় আগের মতো মায়ের কথা না শুনে শীতের কাপড় ছাড়া বের হতে পারবো না। কারন এখন আমিও যে মা।সন্তানের যত্নের কথা ভেবে হলেও আমাকে সুস্থ থাকতে হবে , শক্ত থাকতে হবে। যেমনটি আমার মা করেছেন, নিজে অসুস্থ থাকা সত্তেও দৌড়ে এসেছেন, সন্তানের সেবাযত্ন করেছেন, সন্তানের সন্তানকেও জড়িয়ে ধরেছেন। মা হওয়া টা সন্তানের সাথে সাথে নিজের প্রতিও একটা দায়িত্ব। এটা সেই দায়িত্ব যা আমাকে হাসিমুখে পালনে বাধ্য করে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com