২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০১৯
প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও বহু ভাষাবিদ ড: সৈয়দ মুজতবা আলীর জীবনাদর্শ নিয়ে কাজ করতে গঠিত হয়েছে ড: সৈয়দ মুজতবা আলী পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা আহবায়ক কমিটি। মুজতবা আলী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র দেব এর অনুমোদনক্রমে
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও গবেষক বাবু দীপঙ্কর মোহান্তকে আহবায়ক, শিক্ষক এহসানা চৌধুরীকে যুগ্ম আহবায়ক এবং শিক্ষক ও সমাজ কর্মী আবুল কালাম আজাদ’কে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন কবি সৌমিত্র দেব , যুব নেত্রী সৈয়দা সানজিদা শারমিন, কবি সালেহ মওসুফ ও নারী নেত্রী রাহিলা আহমেদ।
সৈয়দ মুজতবা আলী (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪ – ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪) একজন বিংশ শতকী বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা।
তিনি তাঁর ভ্রমণকাহিনীর জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা একই সঙ্গে পাণ্ডিত্য এবং রম্যবোধে পরিপুষ্ট। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নরসিং দাস পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে আনন্দ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে। সৈয়দ মুজতবা আলী পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর জাতীয় ভাবে সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয়।
শান্তিনিকেতনে পড়ার সময় সেখানের বিশ্বভারতী নামের হস্তলিখিত ম্যাগাজিনে মুজতবা আলী লিখতেন। পরবর্তীতে তিনি ‘সত্যপীর’, ‘ওমর খৈয়াম’, ‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী’ প্রভৃতি ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্রিকায়, যেমন : দেশ, আনন্দবাজার, বসুমতী, সত্যযুগ, মোহাম্মদী প্রভৃতিতে কলাম লিখেন।
তাঁর বহু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন ভ্রমনকাহিনী। এছাড়াও লিখেছেন ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা। বিবিধ ভাষা থেকে শ্লোক ও রূপকের যথার্থ ব্যবহার, হাস্যরস সৃষ্টিতে পারদর্শিতা এবং এর মধ্য দিয়ে গভীর জীবনবোধ ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা তাঁকে বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি হল, “বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।” তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা ৩০।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com