পদত্যাগ করেছেন আবদুল ওয়াহহাব মিঞা

প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮

পদত্যাগ করেছেন  আবদুল ওয়াহহাব মিঞা

পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। রাষ্ট্রপতির দফতরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।

২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াহহাব মিঞার পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন।

আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠতার তালিকায় দুই নম্বরে থাকা সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিলেন আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।

শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান,আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি ১৯৫১ সালের ১১ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি অর্জন করেন ওয়াহহাব মিঞা। এরপর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিয়ে জেলা জজ আদালতের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।

১৯৭৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন আবদুল ওয়াহহাব। পরে ১৯৮২ সালে তিনি আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর তালিকায় তার নাম অনর্ভুক্ত করা হয়।

বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর। তার পদ স্থায়ী করা ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর।

২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ওয়াহহাব মিঞা। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতি হিসেবে পদত্যাগের পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

সংবিধান অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ নভেম্বর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার। ১৯৯৯ সালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে। সে সময় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা।

ওয়াহ্হাব মিঞা দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। তার ছেলে মহিবুল্লাহ তানভীর ও তানভীরের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।

১৯৮২-৮৩ সেশনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ওয়াহহাব মিঞা। ১৯৮৮-৮৯ সালে তিনি এই বারের সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ৮৭ জন বিচারপতি কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ৫ জন আপিল বিভাগে। বাকি ৮২ জন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত আছেন। সবাই স্থায়ী হিসেবে কাজ করছেন।

লাইভ রেডিও

Calendar

March 2024
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31