মৌলভীবাজার শহরে ১৩টি মডেল ফার্মেসীর উদ্বোধন

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮

মৌলভীবাজার শহরে ১৩টি মডেল ফার্মেসীর উদ্বোধন

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম
মৌলভীবাজার জেলা শহরের ১৩টি ফার্মেসীকে মডেল মেডিসিন শপ ও মডেল ফার্মেসী হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে মান সম্পন্নভাবে ঔষধ বিক্রি এবং সঠিকভাবে সেবা প্রদানের কারণে মডেল মেডিসিন শপ ও মডেল ফার্মেসীতে উন্নীত করা এসব ফার্মেসীকে মডেল করা হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল সড়কস্থ মেসার্স হাসান ফার্মেসীকে মডেল মেডিসিন শপ হিসাবে উদ্বোধন করেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মানবদেহের হার্ডের রিঙ্গ,ভাল্ব ও প্রেসমেকার এই ডিভাইসগুলোর মূল্য নির্ধারন করাতে বাজারে এখন দাম ৬০ শতাংশ কমে পওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, এনিয়ে এতোদিন মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতা ছিলো না। অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এখন এ ডিভাইস গুলোর মূল্য নির্ধারনে মানুষ জানতে পারছে কতদামে সেটি বিক্রি হচ্ছে।
তিনি অরো বলেন, বাজারে মানবদেহের মানসম্মত ডিভাইস যাতে পাওয়া যায়-সেই জন্য বাধ্যতামূলকভাবে চারটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ঢাকা জেলার ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মোঃ ফখরুল ইসলাম এবং সাখাওয়াত হোসেন রাজু আকন্দ, মৌলভীবাজারের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মোঃ বাদল সিকদার, সিলেটের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক সিকদার কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য নির্বাহী সদস্য এমদাদুল হক মছনু, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুর রউফ মানিকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মডেল মেডিসিন শপে উন্নীত মেসার্স হাসান ফার্মেসী ছাড়াও শ্রীমঙ্গল সড়কে মেসার্স লড ড্রাগ সেন্টার, নাহিদ ফার্মেসী, এম বি ফার্মেসী, শেফা ফার্মেসী, আইডিয়াল ফার্মেসী, ইসলাম ফার্মেসী, কুসুুমবাগ এলাকায় রাহিমা ড্রাগ হাউস, ইসলামীয়া ড্রাগ সেন্টার এবং এম সাইফুর সড়কস্থ সুমন মেডিকেল হল।
মডেল ফার্মেসীতে রূপান্তরিত ৩টি ফার্মেসী হচ্ছে কোর্ট রোডস্থ সুপার ড্রাগ, শ্রীমঙ্গল রোডস্থ কে কে মেডিসিন সেন্টার এবং কুসুমবাগ এলাকায় নিরাময় ঔষধালয়।
মডেল ফার্মেসীতে একজন “বি” গ্রেড ফার্মাসিস্ট সাদা কালারে এপ্রোন এবং একজন “সি” গ্রেড ফার্মাসিস্ট হালকা গোলাপি কালারের এপ্রোন পরিহিত থাকবেন। আর মডেল মেডিসিন শপে একজন “সি” গ্রেড ফার্মাসিস্ট হালকা গোলাপি কালারের এপ্রোন পরিহিত থাকবেন। এটা বাধ্যতামূলক।
ফার্মাসিস্টরা রোগীকে কাউন্সিলিং করবেন। এন্টিবায়োটিক মেডিসিন বিক্রির করতে হলে রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে।
প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রেজিস্টারে ঔষধ বিক্রয়ের তারিখ, চিকিৎসকের নাম ও হাসপাতালের নাম, ডোজ, কয়টি লেখা আছে, কয়টি নেয়া হয়েছে এবং ফার্মাসিস্ট এর স্বাক্ষর করতে হবে।
শ্রীমঙ্গল রোডস্থ মেসার্স শামছুন নাহার ফার্মেসীর মালিক ও দৈনিক বর্তমান পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিনিধি এস এম মেহেদী হাসান (রুমী) বলেন, আমরা যারা ফার্মাসিস্ট, আমাদের উচিৎ ফার্মেসীর ভিতরে প্রবেশের পূর্বে এপ্রোন পড়ে নেয়া। অনেক ফার্মেসী আছে যাদের ফার্মাসিস্ট বাস্তবে নেই। ভাড়া করা ফার্মাসিস্ট দিয়ে লাইসেন্স টিকিয়ে রাখছেন।