-পারভিন আক্তার
এক বরষার যৌবনে-
নীলকন্ঠ পাখি হয়েছিলে যখন,
সেই আগমনী চমকেই প্রথম
হ্যাঁ,প্রথম পেখম খুলেছিলাম এক পৃথিবীর সীমানায়
আর উজান কৈএর মত ধরা পড়েছিলাম
আমার পুরুষের দূরন্ত আদরে।
শুদ্ধ তুলির বিরামহীন দাপটে সেও
শৈল্পিক মৌনতায় ভরিয়েছিল ষোড়শী প্র‛ছদ।
নূপুরের গান থেমেছিল সেদিন
দৃষ্টি ছোঁয়ার লজ্জায়,
জীবনের তাপ নেমেছিল যেদিন
ভেজা বুকের শয্যায়।
আষাঢ়ের কোমরে আকন্ঠ সেই চুমুকের স্মৃতি
আজও বেসামাল করে রূপালী বিছার ছন্দময়তা……।
ব্যবধানের অসহ্য ব্যাথায়
মলিন হয় বর্তমান বৃষ্টির উচ্ছ্বলতা।
মেঘলা মনের ঘোলাটে অন্ধকার
চঞ্চল কাজলে এখন।
ক্লান্তিহীন ভায়োলিন যেন শ্রাবণ কন্ঠ
মিথ্যে বুদবুদ আর অমশৃণ ক্ষত ভরা
পাঁজরের সাজানো উঠোন।
অপেক্ষার জানালা জুড়ে
দমকা হাওয়ার কঠোর শাসন।
অঙ্গনের কদম অপরাজিতা আর বকুলের সাথে
আমি ভিজি নোনাজলের বাণে…
অবশ মন জেনেছে তার শূণ্যতাই ভরসা
সব গিয়ে যে সঙ্গী হবে ‘অচেনা বরষা ‘…।
সংবাদটি শেয়ার করুন