এসবিএন ডেস্ক:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছর ইউরোপে ১০ লাখ অভিবাসী ও শরণার্থী প্রবেশ করেছে, যা গত বছরের প্রায় চারগুণ। মোট অভিবাসীর অর্ধেকের বেশি যুদ্ধবিধস্ত সিরিয়ার বাসিন্দা। ২০% আফগান শরণার্থী ও ৭% ইরাকি নাগরিক বলে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
হতভাগ্য এসব অভিবাসীরা জীবন রক্ষার তাগিদে মাতৃভূমি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। কিন্তু তাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কাড়ি কাড়ি অর্থ কামিয়ে নিয়েছে মানব পাচারকারীরা। এবছর মানব পাচারকারীরা কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও রুট বিচারে মাথাপিছু ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ডলার পর্যন্ত অভিবাসীদের নিকট থেকে যাত্রার আগেই নিয়ে নেয় পাচারকারীরা।
আইওএম জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ইউরোপগামী অভিবাসীদের নিকট থেকে কমপক্ষে ১,০০০ কোটি ডলার আয় করেছে মানব পাচারকারী বিভিন্ন চক্র।
এ বছরের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০,০৫,৫০৪ জন অভিবাসী গ্রীস, বুলগেরিয়া, ইতালি, স্পেন, মাল্টা ও সাইপ্রাস হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে ৮,১৬,৭৫২ জন সাগরপথে গ্রীসে প্রবেশ করেছে।
আইওএম জানায়, ২০১৬ সাল নাগাদ অভিবাসীর সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছে তা কল্পনা করাও অসম্ভব।
ইউএনএইসসিআর জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ৬ কোটি লোক তাদের বাস্তুভিটা থেকে বিচ্যুত হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
তারা জানিয়েছে, এত বিপুল সংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার জন্য শুধু সিরিয়া যুদ্ধই দায়ী নয়। সিরিয়া যুদ্ধ অনেকগুলো মারাত্মক কারণের মধ্যে একটি। পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা ও বোকো হারাম, নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প, লিবিয়া,ইয়েমেন, ইরাক, আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধাবস্থাও বিশ্বের মোট শরণার্থী বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
সংবাদটি শেয়ার করুন