সদরুল আইনঃ
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান।
শনিবার দুপুর ১২টায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি ও ইন্সটিটিউটের শহীদ সুভাষ হলে জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন-২০২৩ উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক মতবিনিময় সভায়’ তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি সকলে শতভাগ পালন করবেন। যারা পালন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এখন তো প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন, মোবাইল ক্যামেরা ও রেকর্ডার হয়েছে। আপনারা ভিডিও, ছবি ও অডিও রেকর্ডসহ তথ্য-প্রমাণ জমা দেন, আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। ’
সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলের উদাহরণ তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে, তিনি যত প্রভাবশালী প্রার্থী হোক না কেন, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করবে না।
আহসান হাবিব খান বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার ১ বছর ৩ মাস পূর্ণ হয়েছে।
এই সময়ে কমিশন ৭০০ টির বেশি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। অনুষ্ঠিত এসব নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তাই কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে সবধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
এতে মতামত ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মাহাবুবর রহমান চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়াসহ চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী।
এসময় তারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন