শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আট ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী মহিলা কলেজে পাঁচ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থীর বসার পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। ফলে শত শত পরীক্ষার্থীকে বসার জায়গা দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজটির জানালা-দরজা ভাঙচুর করে। বাধ্য হয়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে ২০ জানুয়ারি শুধু ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয়। এই পাঁচ হাজার ৬০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৬০০ জনের পরীক্ষা মিরপুরে শাহ আলী মহিলা কলেজে এবং ৪০০০ জনের পরীক্ষা মিরপুর বাংলা কলেজে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
এরপর ১২ জানুয়ারির পুরো পরীক্ষা বাতিলসহ নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে পরীক্ষার্থীরা। সোমবার আন্দোলনরত অবস্থায় দৈনিক বাংলা মোড় থেকে দুজন চাকরি প্রার্থীকে পুলিশ আটক করে। এরপর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, আটককৃতদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেয়াসহ ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল না করলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা ডেকেছেন। এতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের দায়িত্বে থাকা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি এবং ১৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় গত শুক্রবার সরকারি আট ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির প্রধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন খান জানিয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের আন্দোলেনের কারণে পুরো পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা নিরসনের জন্যই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হবে, সেটা বৈঠক শেষেই বলা যাবে।
আট ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও ক্যাশ অফিসার পদে নিয়োগের এই সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগকে।
এক রিট আবেদনে এ পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের আদেশে এই নিয়োগ পরীক্ষার পথ তৈরি হয় বৃহস্পতিবার। আগের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এই এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে পৌনে ১১ লাখ প্রার্থীর মধ্যে থেকে আটটি ব্যাংকের মোট সাত হাজার ৩৭২টি শূন্য পদে কর্মকর্তা নিয়োগ হওয়ার কথা।
সংবাদটি শেয়ার করুন