ছবি সংগৃহীতঃ
আপনি কি বন্ধুতালিকার কারো ওপর বিরক্ত। তাকে আনফ্রেন্ড করার কথা ভাবছেন? তবে আজকের দিনটি আপনার জন্য উৎকৃষ্ট। কারণ আজ (১৭ নভেম্বর) আনফ্রেন্ড দিবস। কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলের হাত ধরে ২০১৪ সালে এই দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজকাল ছেলে-বুড়ো সব বয়সী মানুষেরই পদচারণা ব্যাপক লক্ষণীয়। বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনেরই অংশ হয়ে উঠেছে।
ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় পরিচিতদের পাশাপাশি অনেক সময় কিছু অজ্ঞাত আগন্তুকেরও অবস্থান থাকে। এদের মধ্যে কেউ হয়ত শুধুই অপরিচিত আবার কেউ বিব্রতকর অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়া বিরক্তিকর ব্যক্তি।
সময়ের অভাব, আলসেমি কিংবা অন্য কোনো কারণে সারা বছর তাদের আনফ্রেন্ড করার সুযোগ হয় না। তবে আজ চাইলে সেই সব অপরিচিত কিংবা অপ্রিয় মানুষকে আনফ্রেন্ড করে দিতে পারেন।
আজ যে আনফ্রেন্ড দিবস। সারা বছর যাদের উৎপাত সহ্য করতে হয়েছে এবং আজ-কাল করে করে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, আজ তাদের ছাঁটাই করার মোক্ষম দিন।
বন্ধু বা ফ্রেন্ড আমাদের কাছে শত বছরের প্রচলিত এবং খুব পরিচিত একটি শব্দ। তবে আনফ্রেন্ড ব্যাপাটির সঙ্গে অনেক পরিচিত না। বাস্তবে বন্ধুত্ব তৈরি করা সম্ভব হলেও প্রকৃতপক্ষে আনফ্রেন্ড করা ঠিক সম্ভব না। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্ভুত আনফ্রেন্ড শব্দটির প্রচলন আর প্রয়োগও তাই ভার্চুয়াল জগতেই সীমাবদ্ধ।
২০০৯ সালে অক্সফোর্ড ডিকশনারির সেরা শব্দ বলে বিবেচিত হওয়া আনফ্রেন্ড-এর সংজ্ঞা হলো ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাউকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
তৎকালীন সময়ে আনফ্রেন্ড শব্দটি অনেকের কাছে অপরিচিত থাকলে গত কয়েক বছর থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দের মধ্যে অন্যতম।
উল্লেখ” কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলের হাত ধরে ২০১৪ সালে ‘‘আনফ্রেন্ড ডে” প্রতিষ্ঠিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বন্ধু তালিকা থেকে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে ছাঁটাই করাই ছিল এই দিবস প্রচলনের মূল উদ্দেশ্য।
সংবাদটি শেয়ার করুন