বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আগামী দিনে কার নেতৃত্বে দল পরিচালিত হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে কে থাকবেন, এ বিষয়ে এখনই বলা মুশকিল। বলাটা সম্ভবও নয়। এটা দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। হাইপোথিটিক্যাল ব্যাপার। আজকেও দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক রয়েছে, সেখানে নিশ্চিয়ই এ বিষয়ে আলোচনা হবে’।
মওদুদ আহমদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি, আইনমন্ত্রী ও প্রবীণ এ আইনজীবী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, খালেদা জিয়া বেকসুর খালাস পাবেন। বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করতেও চাই না উনাকে (খালেদা) দণ্ড দেবে। যে মামলার ওপর ভিত্তি করে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেটা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষই অবগত আছে। রায় কী হবে সেটা আদালত ভালো জানে।
মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাহী কমিটির প্রায় বেশির ভাগ সদস্যই আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে জেলাভিত্তিক ব্যাপক সমর্থন আছে। যদি কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তারা কর্মসূচি সফল করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ আছে। নেতারা এ কথাও জোর দিয়ে বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় এবং জোর করে রাষ্ট্র পরিচলনায় বসে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের বিকল্প নাই।
মওদুদ আহমদ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের উচিত হবে প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে সহনশীল হয়ে বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। যে নির্বাচনে সকলে অন্তত নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পায়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) নিজেও বলেছেন যে, তিনিও সকলকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চান। যে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ থাকবে না। একজন সরকারে থেকে সরকারি টাকা খরচ করে নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন, অপর দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনসহ নেতাকর্মীরা আদালতে বসে আছি, সেটা কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ হতে পারে না। নির্বাচন করতে সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে যদি কোনো বৈষম্য থাকে তাহলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে। তাই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সবার আগে নির্বাচনী পরিবেশ অর্থাৎ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে আস্থা অর্জন করতে হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন