এসবিএন ডেস্ক: সংসদে তোলা বিলে আমলাদের চেয়ে সংসদ সদস্যদের বেতন কম হওয়ায় আপত্তি জানিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় ৫টি বিলের ওপর পর্যালোচনায় এ আপত্তি আসে।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা বাড়াতে আইন সংশোধনের প্রস্তাব এদিন পর্যালোচনার জন্য স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তোলা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবদিকদের জানান, ৪টি বিলের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়া হবে। তবে সংসদ সদস্যদের বেতন নিয়ে ‘আপত্তি থাকায়’ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিটি।
অষ্টম বেতন কাঠামোয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের মূল বেতন ৪৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৬ হাজার টাকা এবং জ্যেষ্ঠ সচিবদের ক্ষেত্রে ৪২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮২ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর গত ২৪ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে ‘মেম্বারস অফ পার্লামেন্ট রেমুনারেশন অ্যান্ড অ্যালাউয়েন্সেস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০১৬’ নামে যে প্রস্তাব তুলেছেন, তাতে সংসদ সদস্যদের বেতন ২৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। আমলাদের চেয়ে সাংসদদের বেতন কম হচ্ছে; তাহলে এমপিদের মর্যাদা এখানে কমে গেল।’
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) সাংসদদের মর্যাদা বাড়ানোর দাবিও বৈঠকে এসেছে বলে সভাপতি জানান।
তিনি বলেন, ‘এমপিরা পারিতোষক পান। যদি সেটাই হয়, তাহলে সম্মানী এক টাকা করে দেন, আর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হোক।’ বর্তমান পদমর্যাদাক্রমে সংসদ সদস্যদের অবস্থান মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও তিন বাহিনীর প্রধানের এক ধাপ নিচে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীর বেতন-ভাতার বিলের বিষয়ে কমিটির সবাই একমত হওয়ায় প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে সংসদে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
তবে সংসদ সদস্যদের বেতন সংক্রান্ত বিল আরও পর্যালোচনার জন্যে অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ‘আমন্ত্রণ জানানোর’ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সুরঞ্জিত বলেন, ‘আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে আমন্ত্রণ জানাবে কমিটি; ওই বৈঠকে কমিটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করবে। আমরা গ্রহণযোগ্য সমাধান পাব আশা করি।’
সংবাদটি শেয়ার করুন