অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা । এই যুদ্ধ ছিল সত্যিকার অর্থে জনযুদ্ধ , শাহেদ বখত ময়নুর লেখা ” আমার মুক্তিযুদ্ধ “বইয়ের পাঠ উৎসবে বক্তারা একথা বলেন ।
মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন কবি মহসীন বখত ও সঞ্চালনায় ছিলেন খছরু চৌধুরী ।
প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম ।
অতিথি ছিলেন , গবেষক ড. সেলু বাসিত, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম, রেডটাইমস এর প্রধান সম্পাদক কবি সৌমিত্র দেব , অধ্যাপক ড. নাঈমা খানম ।
বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ অপূর্ব কান্তি ধর, এডভোকেট মাহমুদুর রহমান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিন, সমাজচিন্তক আহমদ সিরাজ, আইনজীবী সমিতির সভাপতি রমাকান্ত দাশগুপ্ত ,
কথাসাহিত্যিক আকমল হোসেন নিপু, ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, নাট্যজন আসম সালেহ সুহেল প্রমুখ । সভায় বক্তাগণ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ড. ঊর্মি বিনতে সালাম বলেন , আমি নিজেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান । আমার বাবা মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকাতেওযুদ্ধ করেছেন । তাই আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল ।
বইটিতে লেখক নিজের পরিবারের প্রসঙ্গ টেনেছেন অত্যন্ত সচেতনভাবে। তাঁর চাচা একজন ক্ষণজন্মা কৃতী পুরুষ ছিলেন। প্রথা ভেঙে ঐ সময়ে একজন বিদেশিনীকে জীবনসঙ্গী করেছিলেন- যিনি তখনকার সময়ে ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালাতেন। তাছাড়া তিনি ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় ব্যাংকের একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও স্ক্রিন প্রিন্টিং এক্সপার্ট। শুধু তাই নয়, এই নারী চালচলনে যেমন ছিলেন অভিজাত তেমনই ছিলেন মেধা, মনন ও মনীষায় আধুনিক। কোনো কোনো ঘটনার বর্ণনায় হয়তো কিঞ্চিত রঙ ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু কোথাও অতি রঙ ব্যবহার করে অতিরঞ্জিত করা হয়নি।
এখানে প্রকাশ আবশ্যক যে, লেখকের প্রকাশভঙ্গী সহজ-সরল এবং সাবলীল। ঘটনার বর্ণনা পাঠককে শেষ অবধি বিনাসুতার এক অদৃশ্য বাঁধনে আটকে রাখবে। আর এখানেই একজন লেখকের সার্থকতা। শাহেদ বখত ময়নুর ‘আমার মুক্তিযুদ্ধ’ বই প্রসঙ্গে আবারও প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের অনুকরণে বলতে চাই এটি এমন এক বই যে বইয়ের পাতায় শুধু প্রদীপই জ্বলে না- সে বইয়ের পাতা স্বপ্নও বলে .
সংবাদটি শেয়ার করুন