আমি- আমাকে – আমার

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৩

আমি- আমাকে – আমার

হাসিদা মুন

 

আধিপত্যকে বাঁচাবার জন্য অনবদ্য আজম্ম এক টান্’ চলে
স্বজনেরা সস্নেহে লালন পালন করে তোলে
তবুও জীবনের সঙ্গে যৌবন অস্ত যায় – বিস্তরন ও প্রসরণে,
হায় কি নিদারুণ …

 

পরিচিত উদার শ্বাস সর্বস্বান্ত হয়ে
অচেতন ফ্রেমে বাঁধানো দম হয়ে থাকে
বদ্ধদ্বারের পিছনে হাঁসফাঁস করে হৃৎপিণ্ডের গভীরে
নিমগ্ন হৃদ স্পন্দন
সূক্ষ্ম শিখায় জ্বলে নিঃশেষ হয়ে যায়
বিদ্বেষ অভিশাপ দায়ের করা সংক্ষিপ্ত সুচিত সময় –
নিছক ছায়া হয়ে হয়ে কাছে সরে আসে বশীকরণ মরণ
স্বজনেরাও ধীরে ধীরে ভুলে যায় স্মৃতির পাতা
বিনিতভাব মুছে ফেলে ছলে ,বলে ,কৌশলে …

 

এভাবে মুছে গেছে কত বাবা দাদা পরদাদার পরাজয়
আরো কতশত পূর্বপুরুষ কে জানে ?
‘আমার’ চোখেও দেখবো না এমন অনেক কিছু
এই যে ‘আমি’ মনে করা অধ্যায় …

‘আমি’ শব্দটার নিগুড়ে বিরাট এক রহস্য !
আমার থাকা
আমার হাসা
আমার তাকানো
আমার ”আমাকে’ অনুসন্ধান করে যা পাওয়া যায় –
সে ‘আমার’ই কিছু
নাহ ! দেখা যায় না ‘আমি’কে
শুধু বোঝার মধ্যে ক্রমাগত বোঝা’ই বাড়ে
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত …

 

কিছু না বুঝেই নিজের কণ্ঠস্বর ফেলে –
নিজের আকৃতি ভুলে
জানতে চাই
শুনতে চাই – দৈববানী

এসব দেবদূতেরা ধাঁধাঁয় হাড়মাস ধাঁধিয়ে দেয়
না দেখার কষ্টে শিষ্টে কেঁউ পুতুল তৈরি করে
রহস্যকে সামনে আনে
সচক্ষে দেখার আকুতিতে নিজেই নিজের চেহারা
গোপনে আঁকতে চায়

হায় ! বিধি বাম –
অন্যরা যদি আবার তা’ বুঝে ফেলে ?
তাঁদের ভুলিয়ে দিতেই
গড়ে তোলে অন্য আরেক মূর্তির আদল …
নাহ ! ‘আমি’ যে আমিই, সে আমি’তো-
আমার সামনেই এলোনা …

 

আমার ‘আমাকে’ সহস্র খন্ডে ভেঙ্গে চুরমার হতে হলে
তাতে জগতের কি এসে যায় ?
জগত তো ‘না’ বুঝাতেই অভ্যস্ত
না বুঝাগুলোকে -কাঁধে তুলে নিয়ে আছাড় দিতে চাই

কোন সে রহস্য বাঁধা এখানে সম্পর্কের উষ্ণতা অনুভবে ?
উড়বার দুর্বার ইচ্ছায় –
সেসব থেকে যায় নিছক কল্পনায়
এমনকি সেখানেও ‘আমার’ বিশ্রাম নাই …

 

না পারার ক্ষোভে দুঃখে প্রাণ ফুলের মত ঝরে ঝরে পড়ে
তবুও বন্ধ হয়না রহস্য ,
এ সবের মাঝে বেশ ফাঁকিজুকি-
‘আমি- আমাকে – আমার’ এই তিন অধ্যায়কে
চিনতে কি পারি ..?
এখানে কোনো রহস্য যদি থেকে থাকে
সে শুধুই অর্ধেক- ‘নারী’
‘আমি’র খনি খুঁড়ে যা পাওয়া যায়
সে ‘আমি’রই আপন – শরীরী ……..