নুরুল ইসলাম নাহিদ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন, বিকল্প মাধ্যমের উদ্ভাবন, বিশ্বায়নের প্রতিফলন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন, প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিতকরণ, প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের সংস্কার ও নতুন কার্যক্রমের সূচনা। বেসরকারি উদ্যোগ এইসব বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সেশনজট নিরসন পূর্বক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিতকরণে ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার গুরুত্ব দিয়ে এই সেক্টর তদারকি করছে।
শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য, যা অর্জনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আদর্শ জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষা খুবই জরুরী। আহ্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নতুন তথ্য ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।
বিশিষ্ট সুফী সাধক হযরত খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে গুণগতমানের শিক্ষা দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চৌদ্দ (১৪) হাজার শিক্ষার্থী ডিগ্রী অর্জন করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে দেশে-বিদেশে কর্মরত এবং শিক্ষা-গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন।
আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই, দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষকগণকে আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি রপ্ত করে যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষাদানের মাধ্যমে আমাদের মানবসম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে এটি অপরিহার্য।
প্রিয় গ্রাজুয়েটবৃন্দ,
আজ আপনাদের জন্য আনন্দের দিন। আপনাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন আজ পূরণ হচ্ছে। আজ আপনারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সনদ গ্রহণ করছেন। আপনাদের এ সাফল্যের জন্য আপনাদেরকে জানাচ্ছি, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। এ সাফল্য ও গৌরব অর্জন করতে আপনাদেরকে এবং আপনাদের অভিভাবকগণকে, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলীকে অনেক শ্রম ও মূল্য দিতে হয়েছে। আমি গ্রাজুয়েটদের পিতা-মাতা-অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা জীবন এখানে শেষ হলেও আপনাদের কর্মজীবন এখান থেকেই শুরু হলো। আপনাদের অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান এখন বাস্তব কর্মজীবনে প্রয়োগ করতে হবে। জ্ঞান ও মেধার প্রয়োগে সৃজনশীলতা ও উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সীমা বা শেষ নেই। জীবনভর তা আয়ত্ব করে আরও বড় সাফল্য অর্জন অব্যাহত রাখা সম্ভব। আপনাদের এ যাত্রাপথ শুভ হউক, সফল হউক।
প্রিয় ¯œাতকগণ, আপনাদের অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে আজকের এ সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়েছে। নিজ মেধা, শ্রম ও প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আপনারা তা অর্জন করেছেন। যে জ্ঞান আপনারা অর্জন করলেন তা যেন ছড়িয়ে দিতে পারেন সমাজের কম-আলোকিত মানুষের মাঝে, আপনাদের প্রজ্ঞা ও মেধা যেন সাধারণ মানুষের প্রাণে সাহস জোগায়, কর্মক্ষেত্রে ও সমাজে সূচিত করে ইতিবাচক পরিবর্তন। আমি বিশ্বাস করি দেশপ্রেম, সততা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে আপনারা তা করবেন।
সুধীবৃন্দ, আমরা জানি বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সুদূর প্রসারি এবং দৃঢ়। ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর পূর্বেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবো। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান করে নিতে চাই। দারিদ্র দূরীকরণ এখনও আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র দূরীকরণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ততদিন দেশ উন্নত হবে না যতদিন পর্যন্ত দেশ পরিচালনার জন্য, দেশের অর্থনীতির হাল ধরার জন্য, পর্যাপ্ত সংখ্যক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ প্রকৃত উচ্চশিক্ষিত নাগরিক আমরা সৃষ্টি করতে না পারি। আমি নবীন ¯œাতকদের আহবান জানাবো দেশের জন্য, দশের জন্য, নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে, ভালো মানুষ হয়ে এই বিশ্বসভায় দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে।
আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য — আমাদের নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা ও জ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তারা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান আমাদের জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে দায়িত্বশীল এবং দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করে তাদের অর্জিত জ্ঞান ও সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবনকে সার্থক করে তুলতে হবে।
সুধীবৃন্দ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি এবং জাতি ও বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জ্ঞান ও অর্ন্তদৃৃষ্টি। আর এজন্যে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে তাঁদেরকে যুগোপযোগী মানবসম্পদে পরিণত হতে হবে।
সুধিবৃন্দ, আমরা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা সকলেই আমাদের সন্তান এবং জাতির ভবিষ্যত। তাদের সকলের জন্যই আমরা মানসম্মত শিক্ষা এবং সকল সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের নূন্যতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশীদিন চলতে পারবেন না।
যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চান, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যাননি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আর কোন পথ খোলা রাখেন নি।
আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা ত্যাগ করে জনকল্যাণে, সেবার মনোভাব ও শিক্ষার জন্য অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, জ্ঞানী, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, সৎ এবং নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন দেশপ্রেমিক পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই তারা যেন আমাদের দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন।
প্রিয় সুধীমন্ডলী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে যুগান্তকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। এর মাঝে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ সারাবিশ্বে অতুলনীয় বলে বিশ্ব সংস্থাসমূহ বিবেচনা করছে। যথাসময়ে ভর্তি, ক্লাস শুরু, পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ, সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু, স্কুলভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষার প্রবর্তণসহ শিক্ষার সামগ্রিক উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ প্রণয়ন এক্রিডিটেশন আইন প্রণয়ন ইত্যাদি শিক্ষায় শৃংখলা এবং মান উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে।
বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষার চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে এবং এগুলোর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, নারী শিক্ষায় আমাদের অর্জন সারাবিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে আমরা সার্কভুক্ত সব দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। মিলিনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলস্ এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৫ সালের পূর্বেই ২০১২ সালে আমরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জন করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রী হার ৫১ শতাংশ ও ছাত্র হার ৪৯ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী হার ৫৩ শতাংশ ও ছাত্র হার ৪৭ শতাংশ। আগামী ৩ বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ও ৬ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।
প্রিয় গ্রাজুয়েটবৃন্দ,
আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা লাভকারী গ্রাজুয়েটবৃন্দ দেশ ও জাতির ভবিষ্যত গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। আমরা দেশ ও জনগণের প্রতি আমাদের কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা অস্বীকার করতে পারি না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য আজও সম্পূর্ণ অর্জিত হয়নি। ক্ষুধা, দারিদ্র, নিরক্ষরতা ও পশ্চাৎপদতামুক্ত এবং সুখী-সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জিত হতে পারে।
প্রিয় গ্রাজুয়েটবৃন্দ,
আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে পুনরায় বলতে চাই, আজ আপনাদের জীবনের একটি অত্যন্ত স্মরণীয়, বরণীয় দিন। এ দিন কোনোদিন বিস্মৃত হবার নয়। অনেক সাধনা, শ্রম আর নিষ্ঠার ফসল এই সোনালী দিন। এর জন্য আপনারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, আপনারা মেধা ও শ্রমের যে বীজ পরম নিষ্ঠায় বুনেছেন, আজ তার ফসল ঘরে তুলছেন। আমি আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনারাই এদেশের ভবিষ্যৎ নেতা; রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণা – সকল ক্ষেত্রে আপনাদের মতো উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরাই নেতৃত্ব দেবেন। সেখানে আপনারা একই দ্যুতিতে ভাস্বর হবেন, নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবেন, আমি সেই প্রত্যাশাই করি।
সংবাদটি শেয়ার করুন