ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আহত যাত্রী রাশেদ রুবায়েতকে দেশে ফিরে এলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
কাঠমান্ডু থেকে আসার পর বিমানবন্দর থেকে রুবায়েতকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত আহত যাত্রীদের পাঁচজনকে ঢাকায় আনা হল। অন্য চারজনও বার্ন ইউনিটের ভিআইপি কেবিনে রয়েছেন। তাদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে ওই দুর্ঘটনার পর রুবায়েতসহ বাংলাদেশি ১০ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রুবায়েতের অবস্থার বিষয়ে বার্ন ইউনিটটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, তার অবস্থা অন্যদের চেয়ে ভালো।
“দেখে মনে হল, তার বুকের পাঁজরে কিছু হাড় ভাঙা আছে আর পায়ে সফট কিছু ইনজুরি। এটাই তার মেইন প্রবলেম। লাংসের একটা কষ্টের কথা সে বলেছে, সেটার জন্য আমরা রেসপাইরেটরি মেডিসিনের প্রফেসরকে ডেকেছি। তিনি এসে একটু পরে দেখবেন।
বার্ন ইউনিটে থাকা অন্য চারজন হলেন শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান অমিয়, মেহেদীর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ফুপাত ভাই ফারুক হোসেন প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি।
শাহরিনকে বৃহস্পতিবার এবং অন্য তিনজনকে শুক্রবার বাংলাদেশে আনা হয়েছিল।
আহত আরও দুজন কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারিকে রোববার ঢাকায় আনা হচ্ছে।
তাদেরকেও কেবিনেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার ।
নেপালে চিকিৎসাধীন ইমরানা কবির হাসিকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে ভারতে।
আহত আরেকজন রিজওয়ানুল হককে নেপাল থেকেই সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন তার বাবা।
আহত একজন ইয়াকুব আলী নেপালেই থাকছেন। তার পরিবারের সদস্যরা নেপালেই চিকিৎসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
যারা নেপাল থেকে এসেছেন তাদের সবাই কিছুটা মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
তবে স্বজনদের সান্নিধ্যে রুবায়েত সেই অবস্থা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন চিকিৎসক ।
সংবাদটি শেয়ার করুন