সদরুল আইন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন এ ঘোষণা দেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি, যুদ্ধ জয় করতে যতক্ষণ লাগে।’ তিনি আরও জানান, আমেরিকার ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান সবাই জানে কেন রাশিয়াকে থামানো জরুরি।
এর আগে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন জো বাইডেন। বৈঠক শেষে এই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জানান, তারা এই যুদ্ধের অবসান চায়।
তবে বিষয়টি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে বলেও তারা উল্লেখ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমরা দুইজনেই চাই যুদ্ধ শেষ হোক। আমি যেমনটা বলেছি, এই যুদ্ধ আজই থেমে যেতে পারতো যদি পুতিনের সেই সম্ভ্রম থাকতো এবং ঠিক কাজটি করতে পারতেন এবং তিনি যদি সেনাদের বলতে পারতেন, তোমরা ফিরে আসো।’
তবে এটা এখন হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্ন তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই তার জবাব দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনকে যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের কারণে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়টিও উঠে আসে। প্রশ্ন করার আগে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য প্রতিবেদক জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এরপর তিনি জানান, তার পরিবার ইউক্রেনে থাকে। বাইডেন সাহায্য না করলে হয়তো তার পরিবারের সদস্যরা মারা যেতেন। পরে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা কি?
এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তিনি তো আপনার লোক।’ এ সময় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাসির রোল পড়ে। পরে সামলে নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘সাংবাদিককে ইতোমধ্যে আমিও পছন্দ করে ফেলেছি।’
পরে জেলেনস্কি এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এত দুর্ভোগের জন্য হামলাকারীরা (রাশিয়া) ইতোমধ্যেই দায়ী। যুদ্ধের মাধ্যমে শান্তি আসতে পারে না। এই যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
জেলেনস্কি আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি শান্তির জন্য রাশিয়াকে আহ্বান করতে পারবেন না। তারপরে বাইডেন এটি সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দুইজনেই আলোচনা করেছি, আমাদের লক্ষ্য একই। অর্থাৎ একটি মুক্ত, স্বাধীন, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ইউক্রেন। আমরা দুইজনেই চাই যুদ্ধ শেষ হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে সত্যিকারের অংশীদার এবং মিত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যুদ্ধের শেষ ৩০ দিনের মধ্যে, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকারের অংশীদার ও মিত্র হয়ে উঠেছে।’
সংবাদটি শেয়ার করুন