১১ই আগস্ট ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২২
পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্সের পর এবার ভয়াবহ দাবদাহের কবলে পড়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী প্রবাসীরা।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যার ফলে দাবানলের আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর ডিডব্লিউডি জানায়, দেশটির নর্দরাইন ওয়েস্টফালেন অঙ্গরাজ্যের এমসডেটেন অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন।
তীব্র গরমে গাছের ছায়ায় বিশ্রামের পাশাপাশি ঝরনার ঠান্ডা পানিতে নামতে দেখা যায় পর্যটক ও স্থানীয়দের। গরমে কর্মজীবী স্থানীয়দের পাশাপাশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন প্রবাসীরাও।
দাবদাহের কবল থেকে সাধারণ নাগরিকদের রক্ষায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে তীব্র গরমে দাবানলের আশঙ্কায় দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও দমকল বাহিনীকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য সচেতন থাকার পরামর্শও দেয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটের কারণেই এ তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) থেকে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্সে তীব্র তাপপ্রবাহ ও দাবানল আগামী দিনগুলোতে আরও খারাপ হতে পারে এবং ইউরোপের অন্যান্য অংশেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বেশিরভাগ অংশে চরম তাপপ্রবাহের বিষয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রবিবার এবং সোমবার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে অস্বাভাবিক উচ্চে পৌঁছাতে পারে।
পর্তুগালের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে পৌঁছেছে। সেখানে তাপপ্রবাহের চরম লাল সতর্কতা জারি করে মানুষের জীবন-হুমকির মুখে বলে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে স্পেন ও ফ্রান্সেও। পর্তুগাল, স্পেনের পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে ২০টিরও বেশি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ প্রোগ্রামের একজন বৈজ্ঞানিক লরেঞ্জো ল্যাব্রাডর। তিনি বলেন, নেচার জিওসায়েন্স জার্নাল আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে একটি উচ্চ চাপ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সাম্প্রতিক একটি মডেলিং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আজোরেস হাই নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে দেখা গিয়েছে যে গত ১ হাজার বছরের মধ্যে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ সবচেয়ে শুষ্ক অবস্থার দিকে ধাবিত হবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বায়ু দূষণ হচ্ছে অকাল মৃত্যু এবং রোগের একটি প্রধান কারণ এবং এটি হচ্ছে ইউরোপে সবচেয়ে বড় পরিবেশগত স্বাস্থ্য-ঝুঁকি। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে প্রতি বছর ইউরোপে বায়ু দূষণের কারণে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ অকালে মারা যায় এবং বিশ্বব্যাপী সত্তর লক্ষ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। সূত্র: ভয়েজ অব ্আমেরিকা
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com