সদরুল আইনঃ
আগামী ২৯ জুন উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
ইতোমেধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
নারীদের জন্যও আলাদা নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকছে জাতীয় ঈদগাহে। মুসুল্লির জন্য ওজু, খাবার পানি, মোবাইল টয়লেট ও প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া পুরো ঈদগাহে সিসি ক্যামেরাসহ নেয়া হয়েছে তিনস্তরের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে। তবে, আবহাওয়ার প্রতিকূলতা বা অন্য কোনো কারণে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে।
জানা গেছে, প্যান্ডেল ও ত্রিপল লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। পুরো ময়দানজুড়ে শামিয়ানার নিচে মুসল্লিদের জন্য লাগানো হয়েছে ৬০০ সিলিং ফ্যান, ১৫০ স্ট্যান্ড ফ্যান, ৪০ মেটাল লাইট ও ৭০০ টিউব লাইট।
প্রতি কাতারে কার্পেটের ওপরে বসানো হয়েছে মখমলের বিশেষ কাপড়। কাতারগুলোর বিভিন্ন পাশে থাকছে খাবার পানি, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম। মূল গেটসহ আশপাশের এলাকা সাজানো হয়েছে রঙবেরঙের সাজসজ্জার কাঠামো দিয়ে।
২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, এবারে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট থাকছে একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি এবং মহিলাদের প্রবেশের জন্য পৃথক একটি গেট রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি পুরুষ কাতার থাকবে পাঁচটি এবং মহিলা কাতার থাকবে একটি। জনসাধারণের জন্য পুরুষ কাতার থাকবে ৬৫টি (বড় আকারের)। আর মহিলা কাতার থাকবে ৫০টি (ছোট আকারের)।
অজুখানায় একসঙ্গে প্রায় ১১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন মহিলা অজু করতে পারবেন।
ঈদগাহের প্রস্তুতি সম্পর্কে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, ‘মহিলাদের বের হওয়ার জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হওয়ার সময় যেন কোনো হুড়োহুড়ি না হয়, সে জন্য বের হওয়ার পর্যাপ্ত পথও রাখা হয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টি হলে যেন ভেতরে পানি ঢুকতে না পারে, সে জন্য ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঈদগাহে সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি।
এ ছাড়া পর্যাপ্ত র্যাব, পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবেন।’
সংবাদটি শেয়ার করুন