২৫শে জানুয়ারি ২০২১ ইং | ১১ই মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে নোঙ্গর করেছে সাতটি জাহাজ। বেলা ২টায় জাহাজগুলো সেখানে পৌঁছায়। এর আগে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামে ছেড়ে গিয়ে ছিল।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে যে, ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে এমন অন্তত ১২টি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন তারা। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে। কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় স্থানান্তর হতে চান না বলে মানবাধিকার সংস্থাটিকে জানিয়েছেন। এই তালিকায় থাকা কিছু শরণার্থী জোর করে স্থানান্তরিত হওয়ার ভয়ে পালিয়েছেন বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।
তবে সরকার বলছে যে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য তাদের কোনোরকম জোর করা বা ভয়ভীতি দেখানো হয়নি, তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যাচ্ছেন।
নৌবাহিনীর জাহাজে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেছেন এমন একজন জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের বহণকারী অন্তত সাতটি জাহাজের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার একাধিক নৌযান যাত্রায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সাতটা জাহাজে রোহিঙ্গাদের নেয়া হয়েছে। এই জাহাজগুলোর সাথে অন্তত আটটি নৌযানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যাত্রা করছেন। আর রোহিঙ্গাদের মালামাল বহণকারী দু’টি জাহাজ গতকালই ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।’
এই দফায় ভাসানচরে যাত্রা করা রোহিঙ্গাদের সবাই নিজেদের ইচ্ছায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে স্থানান্তরের আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন কক্সবাজারের একটি শরণার্থী ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা।
প্রায় ৬ মাস আগে সাগরে ভাসমান ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পর ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল নৌবাহিনীর তত্বাবধানে। কয়েকমাস আগে সেসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভ করে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে সেখানে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসেই এই প্রকল্প গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।
চরে এক লক্ষ রোহিঙ্গা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের জন্য ১২০টি ক্লাস্টার বা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ঘর রয়েছে ১ হাজার ৪৪০টি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যাতে ব্যবহার করা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে ভাসানচরে পাঁচ তলা বিশিষ্ট ১২০টি শেল্টার হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। জোয়ার এবং জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে ভাসানচরকে রক্ষার জন্য চারপাশে নয় ফুট উচ্চতার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766