এসবিএন ডেস্ক: এটিএম বুথে জালিয়াতি ঘটনায় ১ বিদেশীসহ সিটি ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জালিয়াতির সময় সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ দেখে ঐ বিদেশীকে শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতার পিটার পোলান্ডের নাগরিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিটি ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা হলেন, মোকসেদ আলম ওরফে মাকসুদ, বেজাউল করিম ওরফে রাহীদ ও রেফাজ আহমেদ ওরফে রনি। তারা হলেন ব্যাংকের আইটি বিভাগের কর্মকর্তা।
সোমবার বিষয়টি সুত্রকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।
এর আগে পুলিশ জানায়, বেসরকারী তিনটি ব্যাংকে জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা পূর্ব ইউরোপের নাগরিক।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এমন ৪/৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তাদের ওপর নজরদারি।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও নবগঠিত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শনাক্ত করা ৪/৫ জনের মধ্যে যেকোন একজন অর্থ আত্মসাতে জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সন্দেহভাজনরা বিদেশী হওয়ায় একেবারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। ছবিতে তাদের মুখমণ্ডল দেখা যায়নি। তবে তাদের গায়ের রং সাদা। তাদের কেউই এখনও দেশ ত্যাগ করেনি।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় বনানী থানায় দায়ের করা মামলাটি মঙ্গলবার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসিটিভির ফুটেজসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিবি ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কয়েকজন সদস্য মিলে তদন্তকাজ শুরু করেছে।’
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘জালিয়াতির এই ঘটনায় এদেশের কেউ জড়িত থাকতে পারেন। এমনকি ব্যাংক কর্মকর্তাদের কেউ জড়িত থাকাও অসম্ভব বা অবাস্তব নয়।
কারণ এর আগেও একটি ঘটনায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার জড়িত থাকার ঘটনা প্রমাণ মিলেছিল। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া গেলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
সংবাদটি শেয়ার করুন