২৭শে জানুয়ারি ২০২১ ইং | ১৩ই মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৫
নাজমুল হক ইমর
প্রকৃতির বিধ্বংসী শক্তি টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়। এ শক্তিকে যদি কৃত্রিমভাবে তৈরি করে মানুষের কাজে লাগানো যায় তাহলে কেমন হয়? সম্প্রতি তেমনই এক উদ্যোগ নিয়েছেন গবেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
টর্নেডো তৈরির বর্ণনা খুবই সহজ। গবেষক লুইস মিচাউড এ বিষয়ে বলেন, ‘কিছু গরম বাতাস তৈরি কর। এগুলোকে একটু ঘুরিয়ে দাও আর এতেই তোমার কাজ হয়ে যাবে।’
টর্নেডো তৈরির জন্য একটি মেশিনও তৈরি করেছেন গবেষক লুইস। তবে এ বিষয়টি যতটা সহজ মনে হয় বাস্তবে ততটা সহজ নয়। কানাডাভিত্তিক এ ইঞ্জিনিয়ার বেশ কয়েকটি প্রটোটাইপ তৈরি করেছেন এ কাজে। আর এতেই তৈরি হচ্ছে ছোট স্কেলে টর্নেডো।
ছোট আকারে টর্নেডো থেকে তেমন এনার্জি পাওয়া যাবে না বলে জানান লুইস। এ ক্ষেত্রে ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট চওড়া একটি টর্নেডো তৈরি করা যেতে পারে। এ টর্নেডো ১৪ কিলোমিটার উঁচু হবে। ফলে এতে উৎপন্ন হবে দানবীয় শক্তি। এ শক্তি ব্যবহার করতে পারলে বহু কাজই করা সম্ভব হবে।
টর্নেডো তৈরির কাজে তাপ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিংবা অনুরূপ কোনো উৎস।
তবে টর্নেডো যদি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মানুষের ক্ষতি করে? এ প্রশ্নের জবাবে লুইস জানান, এ শক্তি বিপজ্জনক হবে না। কারণ
এটি হবে এক স্থানে স্থির এবং নিয়ন্ত্রিত। আর এ ঘূর্ণিবায়ু ব্যবহার করে টারবাইন চালানো সম্ভব, যা প্রধানত বায়ুমণ্ডলের শক্তিতেই চলবে।
এর মাধ্যমে সস্তা এনার্জি পাওয়া সম্ভব। এটি বিশ্বের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারবে। আর এটি গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন লুইস।
কিন্তু কিভাবে আহরণ করা হবে এই এনার্জি? এ বিষয়ে লুইস বলেন, একটি আবর্ত ইঞ্জিন এই এনার্জি আহরণ করতে পারবে। তবে এ ধরনের ইঞ্জিন তৈরির জন্য এক বিলিয়ন ডলার অর্থ প্রয়োজন হবে।
অল্প পরিসরে এই ইঞ্জিন তেমন কাজ করতে পারবে না। তাই গবেষক জানান, এ জন্য এখন দরকার বড় বিনিয়োগ। – See more at: http://www.manobkantha.com/2015/12/09/86399.php#sthash.VAU4Z9ol.dpuf
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766