সদরুল আইনঃ
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দেশের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ নতুন কনসেপ্ট ‘উঠান বৈঠক’ প্রবর্তন করে ব্যাপক সাড়া ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিলেন গাজীপুর -৩ আসনের বিস্ময় পূরুষ অনন্য জনপ্রিয় আলোচিত রাজনৈতিক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি।
সে সময় লাগাতার ৬৬৭টি উঠান বৈঠক করে তিনি একদিকে যেমন সারাদেশে রাজনীতির আলোচিত পূরুষে পরিনত হয়েছিলেন অপরদিকে প্রচার মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচারের কারনে কেন্দ্রিয় নীতি নির্ধারকদের বিশেষ দৃষ্টিতে চলে আসেন তিনি।
নামে উঠান বৈঠক হলেও প্রতিটি উঠান বৈঠক সে সময় পরিনত হত উত্তাল জনসমুদ্রে ।বাঁধভাঙ্গা মানুষের জনস্রোতের কাফেলায় সৃষ্টি হয়েছিল শ্রীপুরের শ্যামল জনপদে নতুন গর্বিত এক ইতিহাস।
ইকবাল হোসেন সবুজ’র উঠান বৈঠক সেসময় অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছিল দেশের বহু নেতা, এমনকি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও।আর এই উঠান বৈঠকের মাধ্যমেই ইকবাল হোসেন সবুজ তার রাজনৈতিক জীবনের চুড়ান্ত ও ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করে দীর্ঘ ৩০ বছর পর স্বপ্নের কাঙ্খিত সংসদের ফুলেল ঠিকানা খুঁজে পান একাদশ সংসদ নির্বাচনে।
ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি এই উঠান বৈঠকের মাধ্যমেই এই জনপদের মানুষের মণিকোঠায় চারণ কবি, পুষ্পিত হৃদয়,জনপ্রিয়তার হিমালয়,মানবতার অনন্য পথিকৃত, রাখাল রাজাসহ হাজারো বিশেষণ নিজের নামের পাশে, জনতার ফুলেল হৃদয়ে আঁকতে সক্ষম হয়েছিলেন।
উঠান বৈঠকের মাধ্যমেই তিনি ফাঁসীর সাজানো মঞ্চ পেরিয়ে জনতার ভালবাসার মহাসুদ্রে দাড়িয়ে স্বপ্নিল সংসদ যাত্রায় সাফল্যের গোলাপ হতে পেরেছিলেন।হতে পেরেছিলেন আধুনিক মানবিক শ্রীপুর গড়ার অনন্য কারিগর।
সময়ের পথচক্রে, কাজ ও ব্যস্ততার নানাবিধ ভীড়ে শ্রীপুরের প্রত্যন্ত জনপদে ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি’র সোনালী বিচরন এখনো অব্যাহত থাকলেও দৃশ্যপট থেকে ক্রমশ: হারিয়ে যাচ্ছে ‘উঠান বৈঠক।’
জনতার কাঠগড়ায় এই চারণ রাজনৈতিক বারবার এসেছেন সত্য তবে তা ব্যাপকতা নিয়ে আসেনি।
তবে মানবতার চারণ কবি, এই জনপদের রাখাল রাজা ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি তার ‘উঠান বৈঠক’ আবার চালু করবেন সেই প্রত্যাশা তার লাখ লাখ ভক্ত ও অনুরাগীদের।
সময়ের সোনালী অধ্যায় হয়ে, ঐতিহাসিক সেই ‘উঠান বৈঠক’ আবার মানুষের মিলন মেলায় শ্রীপুরের রাজনীতি তার মুখর ঠিকানায় ফিরে যাবে এমনটিই আশা করছেন শ্রীপুরের ৭ লাখ জনতা।
সংবাদটি শেয়ার করুন