নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জুতা পায়ে সিলেটের বুদ্ধিজীবী সমাধিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে এ কেমন আলোক প্রজ্জ্বলন ? সিলেটের সমালোচিত জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাসগুপ্ত সম্প্রতি ফের সিলেটে এসেছেন । ২০১৫ সালে তিনি নিজ দায়িত্বে শিল্পকলা একাডেমীর সামনে অভিভাবকের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করান, তার স্বীকারউক্তি অসিত নিজেই সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকের সামনে করেছেন । এই মানববন্ধনের প্রেসবিজ্ঞপ্তি অসিত বরণ দাসগুপ্ত সরকারি শিল্পকলা একাডেমীর ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পাঠান। ছবি নিচে দেয়া হলঃ
Screenshot 2015-04-19
২০১৫ সালে তিনি নিজ দায়িত্বে শিল্পকলা একাডেমীর (সরকারি ভবনের) সামনে অভিভাবকের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করার জন্যে তার নিজস্ব ফেসবুকে প্রচারণা করেন। সেই ছবিটি নিচে দেয়া হলঃ
Screenshot 2015-04-19
প্রশাসনিক ভাবে এডহক কমিটি দিয়ে শিল্পকলা একাডেমী পরিচালনা হচ্ছে বলে তখন তিনি নানান ভাবে কৌশল অবলম্বন করে সিলেটে থেকে যান । পরবর্তীতে ২০১৬ সালের দিকে সিলেটের জ্যাষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিমাংশু বিশ্বাসকে অপমানের কারণে জেগে ওঠে সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবাই । সিলেট জেলা প্রশাসক অফিসে অভিযোগ লিখিত ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় প্রায় ১৫ জনের । এরপর সিলেটে থেকে বদলি হয়ে যান অসিত বরণ দাসগুপ্ত হবিগঞ্জে । গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সিলেটে জুতা পায়ে সিলেটের শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে আলোক প্রজ্জ্বলনের ছবিতে আবারও অসিত বরণ দাসগুপ্তকে দেখা যায়।
সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লেখক, কবি, অভিনেতা সৌমিত্র দেবকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন, “আসলে শুধু ছবি তুলে সংবাদ মাধ্যমে আসার সুস্থ্য মানসিকতার সংস্কৃতির বা বীরবাঙালির আয়োজন হতে পারে না। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সেটা বিনম্র চিত্তের বাঙালির ঐতিয্যের বাহক হিসেবে লালন করতে হবে। এখানে জুতা পায়ে না নিয়ে সকলেরই কর্তব্য ছিল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা।”
সিলেটের কালচারাল অফিসার সম্পর্কে মৌমিত্র দেব বলেন, “অসিত বরণ দাসগুপ্ত প্রশাসনিক নিয়মের মধ্যে চললে কখনো আইনি প্রকৃক্রিয়া বা বিচার বিহিন ব্যবস্থায় রদ-বদল হত না। আইনের শাসন সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়নি বলেই পুনরাবিত্তি ঘটছে বার বার অপসংস্কৃতির।”
সংবাদটি শেয়ার করুন