৬ই মার্চ ২০২১ ইং | ২১শে ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকারকে নিজেদের লোকেরাই বিভ্রান্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী । তিনি বলেছেন,‘৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘‘জয় পাকিস্তান’’ বলেছিলেন বলে এ কে খন্দকারের প্রকাশিত বইয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্যপদের শপথ নেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেছিলেন। তবে ৭ মার্চের ভাষণে নয়। এমনকি ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যেখানে ‘‘পাকিস্তান’’ শব্দটি ব্যবহারের দরকার ছিল, সেখানে ‘‘পূর্ব পাকিস্তান’’ অথবা ‘‘বাংলাদেশ’’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। এ কে খন্দকারকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। যারা করেছে, তারা জামায়াতে ইসলামীর কেউ না। তারা আমাদেরই লোক। নাম বলতে চাই না। শত্রু বাড়াতে চাই না। তারা নানা সুবিধা পাওয়ার জন্য এসব কথা বলে। তাদের প্যাথলজিক্যাল হেট্রেট আছে, বঙ্গবন্ধুর ওপর, আওয়ামী লীগের ওপর, শেখ হাসিনার ওপর।’ ৭ মার্চের ভাষণ তাঁর নিজ গুণে আন্তর্জাতিক চরিত্র ধারণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অগ্রণী রিসার্চ নামের এক সংগঠনের ‘ইতিহাসের আলোকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ৭ মার্চের তাৎপর্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কটূক্তি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী।
আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দুইবার স্বাধীন করেছেন। একবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে। আরেকবার ভারতের সেনাবাহিনীকে বাংলদেশ থেকে নিয়ে যেতে বলে। এটা আরেকটা স্বাধীনতার সমান। জিয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে যা-ই করুক না কেন, বঙ্গবন্ধু দেশে না এলে ইন্ডিয়ান আর্মিদের তাড়াতে পারত না। সে নিজেই বিদেশে পালিয়ে যেত।’
অগ্রণী রিসার্চের মহাপরিচালক মোনায়েম সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, অগ্রণী রিসার্চের পরিচালক নূরউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন , ‘তারেক রহমান একজন জীবন্ত উন্মাদ। তাকে অর্ধ উন্মাদ বললেও সম্মান করা হবে। এই উন্মাদ অবস্থাতেই তার শেষ পরিণতি ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান বীরত্বের সঙ্গে দেশে চেহারা দেখাতে পারেন না। জামায়াতের লোক নিয়ে তিনি লাখ পাউন্ড খরচ করে বিদেশে সভা করেন। আর পালিয়ে বেড়ান। তাঁকে চিৎকার করতে দিন। তাঁর চিৎকারে বঙ্গবন্ধুর কিছু হবে না।’ তিনি বলেন, ‘একদিন জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখি—তিনি তারেককে বেল্ট খুলে প্রহার করছেন। রক্তাক্ত তারেকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়াও। শাহীন কলেজে এক মেয়েকে টিজ করার কারণে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।’
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766