সদরুল আইনঃ
ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে এমন শক্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা তাকেই দলের মনোনয়ন দিবেন যিনি জনপ্রিয়।
আপনাদের কাছে যিনি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তাকে মনোনয়ন দিবেন শেখ হাসিনা।
গোয়েন্দা সংস্থা নয়, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত সংস্থা বানিয়েছেন। সেই সংস্থার মাধ্যমে যার যার নির্বাচনী এলাকার আমলনামা প্রতিদিন তার কাছে যাচ্ছে। তিনি সেগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিবেন।
এরপরও কারো পছন্দের প্রার্থীকে যদি মনোনয়ন না দেওয়া হয়, যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হউক শেখ হাসিনার কথা মনে করে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।
শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আয়োজিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মির্জা আজম।
মির্জা আজম আরও বলেন, জয়বাংলা স্লোগানকে হত্যা করেছিল জিয়াউর রহমান। বহুদলীয় গণতন্ত্রে জিয়াউর রহমান যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি অফিস আদালতে নিজেদের পরিচয় দিতে পারত না।
জিয়াউর রহমান রাজাকার আলবদরদের মোটাতাজা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিতেন।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যার ঘরে ফ্রিজ-টিভি নেই ৷ উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে না পারলে ক্ষমতায় কে আসবে। জিয়ার ছেলে তারেক আসবে। যেই তারেক বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছিল, খালেদা-তারেক ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগকে নিঃস্ব করার জন্য ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।
১০ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসব আমেজ।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামসুর কবীর মাস্টারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব প্রমুখ।
বিকালে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বর্তমান সভাপতি পদে আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল কবির মাস্টার পুনরায় নির্বাচিত হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন