ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ম কংগ্রেসে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি হয়েছে । শেষ দিন পার্টির নেতৃত্ব আগামী কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব পাস হয়। সেখানে আবার রাশেদ খান মেননকে সভাপতি ও ফজলে হোসেন বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে । এ ছাড়া ১৫ সদস্যের পলিটব্যুরো ঘোষিত হয় ও ৬২ জনকে কেন্দ্রীয় সদস্য ও ২৮ জনকে বিকল্প সদস্য করে ৯১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাচিত হয়। এছাড়াও শেখ সাইদুর রহমান কে প্রধান করে তিন সদস্যের কন্ট্রোল কমিশন ঘোষণা করা হয়। । ৫৭টি সাংগঠনিক জেলার ৫৭২ জন প্রতিনিধি এবং ৭৯ জন পর্যবেক্ষক সমন্বয়ে মোট ৬৫১ জনের উপস্থিতিতে ২-৫ নভেম্বর বিভিন্ন অধিবেশন চলে। ২ নভেম্বর সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশস্থ চীনা মিনিস্টার অব কাউন্সিল, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনামের সেকেন্ড সেক্রেটারী রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়া ফেডারেশেনের কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়াসহ ৫৭টি কমিউনিস্ট ও সোসালিস্ট পার্টি ১০ম কংগ্রেসের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে। কংগ্রেস অধিবেশনের ৩ দিনের সেশনে মোট ৮টি প্রস্তাব পাশ হয়। বিশেষভাবে বৈষম্য ও দারিদ্র্য প্রসঙ্গে, নারীর প্রাণ সহিংসতা, সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী অবস্থান, উন্নয়নের সুফল নস্যাতে দুর্নীতি, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, কাজের নিশ্চয়তা, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য, তিস্তা প্রসঙ্গে ইত্যাদি রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহিত হয়। সেই সাথে কংগ্রেসকে সফল করে তোলার ক্ষেত্রে পার্টি কর্মিরা পার্টি বিরোধী উপদলীয় চক্রান্ত রুখে দিয়ে পার্টিকে আরো দৃঢ় শৃঙ্খলার উপর দাঁড় করিয়েছে।
এছাড়াও বিশেষভাবে ২০২১ সালে ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন’ এবং ২০২০ সালে মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মহান জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, ১০ম কংগ্রেসে রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে বির্তক তুলে ৬ জন নেতা বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেস বর্জনের আহ্বান জানালেও সে আহ্বানে পার্টি জেলাসমূহ কোন সাড়া দেয়নি বরং কংগ্রেসে উপস্থিত হয়ে উভয় মত পর্যলোচনা করে প্রতিনিধিবৃন্দ সর্বসম্মতভাবে পার্টির কেন্দ্রীয় দলিলের সাথে প্রস্তাব পাশ করে। এবারের কংগ্রেস নির্বাচন প্রসঙ্গে নিজস্ব শক্তির উপর জোর দেওয়া হয় এবং পার্টির নির্বাচনী মার্কা ‘হাতুড়ি’ নিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। কংগ্রেসে জোট সম্পর্কে বলা হয়, ১৪ দল কেবল কেন্দ্রে কার্যকর থাকলেও তৃণমূলে কার্যকর নাই। কংগ্রেসে ১৪ দলকে তৃণমূলে কার্যকারী করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি দুর্নীতি, বৈষম্য, মাদক, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইসহ কংগ্রেসে গৃহিত প্রস্তাব সমূহের ভিত্তিতে নিজস্ব শক্তি বিকাশের আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: [email protected]
Web Design by: SuperSoftIT.com