ঢাকা ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি


কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী করতে বিল পাস

abdul
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬, ০৩:৩৯ অপরাহ্ণ
কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী করতে বিল পাস

এসবিএ ডেস্ক: কক্সবাজারকে পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৬’ পাস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলের ওপর নয়জন বিরোধী দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপি বিলটি বাছাই কমিটিতে প্রেরণসহ ৯টি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। কিন্তু তাদের প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

পাস হওয়া বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পর্যটন নগরী কক্সবাজার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে বহুল পরিচিতি লাভ করেছে।

একটি আধুনিক ও উন্নতমানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কক্সবাজারের আবাসন, হোটেল, মোটেল, রাস্তাসহ অন্যান্য নাগরিক ও পর্যটন সুবিধা পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

এছাড়া কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা প্রয়োজন।

বিলে বলা হয়েছে, এ আইন কার্যকর হওয়ার পর কক্সবাজার পৌরসভাসহ কৃর্তপক্ষের আওতাধীন অন্যান্য পৌরসভার কোন নির্মাণ কাজ বা খনন কাজের অনুমতি প্রদান করলে তা বেআইনী ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে। এসব স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কোন নকশা, জলাধার খনন বা পুণ:খননের অনুমোদন প্রদান করতে পারবে না।

এ আইন অমান্য করলে ২ বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মহাপরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শর্ত সাপেক্ষে ইমারতের নকশা, ইমারত নির্মাণ, পুকুর বা জলাধার খনন সংক্রান্ত অনুমোদন দিতে পারবে।

এছাড়াও কৃর্তপক্ষের কোন আদেশ বা নির্দেশের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী আদালতে প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে না। কৃর্তপক্ষের কোন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে বা কোন সীমানা চিহ্ন অপসারণ করলে ১ বছরের কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে আরো বলা হয়েছে, আইন কার্যকর হওয়ার পর ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন ১৫ জন। এদের ৪ জন হবেন পূর্ণকালীন আর ১১ জন খন্ডকালীন।

একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পূর্ণকালীন সদস্যদের মধ্যে একজন প্রশাসন ও অর্থ, একজন প্রকৌশল এবং একজন পরিকল্পনা বিভাগ দেখবেন।

এছাড়া সদস্য থাকবেন ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থাপত্য অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, কক্সবাজার শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি।

সদস্য হিসেবে আরো থাকবেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র। এছাড়া তিনজন বিশিষ্ট নাগরিকও কর্তৃপক্ষের পার্টটাইম সদস্য হিসেবে থাকবেন। যার মধ্যে একজন হবেন নারী।

এতে আরো বলা হয়েছে, একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য সমীক্ষা, জরিপ, মাস্টার প্ল্যান এবং নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এই কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে মাস্টার প্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রণয়ন করাই হবে কর্তৃপক্ষের মূল কাজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

September 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930