১লা মার্চ ২০২১ ইং | ১৬ই ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২, ২০১৮
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস । সঙ্গে আছেন বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও তাদের সফর সঙ্গী ।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান।
কক্সবাজারে নেমে প্রথমে হোটেল সাইমন বিচ রিসোর্টে যান তারা। এরপর কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর গত দশ মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ পাওয়া গেছে তাদের কথায়।
সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে জাতিসংঘ বর্ণনা করে আসছে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলে আসছে,বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং এই প্রত্যাবাসন যাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে হয়, তা নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারকে।
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে দুই দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসেন আন্তোনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিম। তারা জানিয়েছেন, এ সঙ্কট এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
আর রোহিঙ্গা সঙ্কটে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, এই সঙ্কট উত্তরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও অনেক কাজ বাকি, আর সেজন্যই তিনি ও জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে এসেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রেসিডেন্ট পিটার মুরারও কক্সবাজার সফরে গুতেরেস ও কিমের সঙ্গে রয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টকে ব্রিফ করবেন। এরপর তারা উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হবেন।
ওই ক্যাম্পে রাখা হয়েছে মূলত নতুন আসা রোহিঙ্গাদের। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর গুতেরেস ও কিমকে বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ দেখাতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে ইউএনএফপিএ পরিচালিত একটি কেন্দ্রে কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীর কাছে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনবেন তারা।
একটি ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ঘূরে দেখে আরেকটি ক্যাম্পে কয়েকজন নির্যাতিত রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট। পরে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে তারা সায়মান বিচ রিসোর্টে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে ।
S | M | T | W | T | F | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | |
7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 |
14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 |
21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 |
28 | 29 | 30 | 31 |
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766