নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শ্বশুড় বাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী মাঝাপাড়া গ্রামের। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরন করেছে।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক বিপুল ইসলাম সাদ্দামের সাথে দুই বছর আগে একই ইউনিয়নের কাছারীপাড়া গ্রামের লুতফর রহমানের মেয়ে লুবাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লুবাইয়া স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। গত ৬ জুন সোমবার লুবাইয়া তার স্বামীকে না জানিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। খবর পেয়ে স্বামী সাদ্দাম ৭ জুন উত্তরা ইপিজেডে ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীকে আনতে শশুর বাড়িতে যান। শশুর বাড়িতে গেলে পারিবারিক কোলহের জেরে শ্বশুড় শ্বাশুড়িসহ অন্যারা মিলে জামাইকে মারধর করলে জামাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সাদ্দামের ভগ্নিপতি মাজেদুল ইসলাম ও চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম বিয়ের পর তার শ্বশুড়ের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুড় জামাই এবং শাশুরীর সাথে মনোমালিন্য চলে আসছিল। ঘটনার দিন ৭জুন সাদ্দাম ফোনে আমাদের জানায় আমি শশুর বাড়িতে এসেছি তারা আমাকে অনেক মারধর করেছে আমাকে বাঁচান। পরে আমরা গিয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা সাদ্দামের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তারপর তাকে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে আমরা প্রথমে তাকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর চারটার দিকে সাদ্দাম মারা যায়।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য সাদ্দামের শশুর বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রাজিব কুমার রায় বলেন, লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন