২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
কী হতে পারে ৮ ফেব্রুয়ারি’ এ নিয়ে জনমনে চলছে জল্পনা কল্পনা ।জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে চলছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে চলছে কথার বাহাস । এমনকি একে অপরের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকিধামকি চলছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র ।
রায়ে খালেদা জিয়ার জেল হবে না অর্থদণ্ড? নাকি উভয় দণ্ড হবে, রায় পিছিয়ে নেওয়া হবে কি, যদি জেল হয় তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভূমিকা কী হবে, খালেদা জিয়ার অবর্তমানে বিএনপির নেতৃত্বে কে থাকবে, বিএনপি মারমুখী অবস্থান নিলে আওয়ামীলীগ কী তার পাল্টা অবস্থান নিবে?
প্রশ্ন বাড়ছে গানিতিক হারে । আর জ্যামিতিক হারে বাড়ছে শঙ্কা। সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকা জজ আদালত এই মামলার রায় দেবেন। রায় ঘোষণার পরবর্তী সময়ে যেকোনও অপ্রীতিকর অবস্থাই তৈরি হতে পারে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্তরের পুলিশ নেমে গেছে। পথে পথে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট। বাস, ট্রেনসহ সকল যানবাহনেই পুলিশ তদারকি বাড়ছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে এই রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও বিএনপি নেতারা তাদের বক্তব্যে অটল রয়েছেন। বিএনপির সব নেতাকে ঘরে বসে না থাকার আহ্বান জানিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনৈতিক রায় হলে বিএনপি নেতারা ঘরে বসে থাকবে না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার শাস্তি হলে তার জবাব দেওয়ার জন্য বিএনপি নেতারা প্রস্তুত আছে।’
অন্যদিকে এই রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেখা দিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গেল সপ্তাহে বলেছেন, ‘বিএনপি সহিংস আচরণ করলে পাল্টা জবাব দিবে আওয়ামী লীগ।’
তবে ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দলের সভানেত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রায়কে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা সহিংস আচরণ করলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পুলিশকে সহায়তা করবে।’
অন্যদিকে দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ৬ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেছেন, ‘বিএনপির সহিংসতা ঠেকাতে প্রশাসন মাঠে থাকবে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নয়।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ইতোমধ্যে বলেছেন, ‘লাঠি, ছুরি, দা কিংবা কোনধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কেউ পথে থাকতে পারবে না। কেউ এই আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টিএসসিতে বসে একঝাঁক শিক্ষার্থী আলোচনা করছেন, আবার ক্লাস বন্ধ হয়ে যায় কী না?
‘আওয়ামী লীগ বিএনপি মাঠে নামলে তো উভয় দল মুখোমুখি হবে। তখন যে কী হয়!’ হতাশার সঙ্গে কথাটি বলছিলেন ফার্সি সাহিত্যের শিক্ষার্থী আফরোজা পারভীন।
চায়ের দোকান থেকে হাট বাজার যানবাহন সব জায়গাতেই এই আলোচনা। পুরানা পল্টন মোড়ে বসে কথা বলছিলেন কয়েকজন রিকশাচালক। মেরাদিয়াবাসী রিকশাচালক ছুবহান মিয়া বলেন, ‘কাল আর রিক্সা চালানো যাবে না। দেখপেন মারামারি একটা হবে। তাদের কী! আমাদেরই না যত সমস্যা।’
মিরপুর থেকে মতিঝিলের বাসে করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত আবদুল ছাত্তার। তিনি বলেন, ‘একটা সহনীয় রাজনৈতিক পরিবেশ আমাদের দেশে হবে বলে মনে হচ্ছে না। সবার মুখে প্রতিহিংসার আগুন। কাল যে কী হয়!’
অপেক্ষায় আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে আওয়ামী লীগ, বিএনপির সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষ। সবার মনে জিজ্ঞাসা,প্রকৃতপক্ষেই কী হতে চলেছে?
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com