২৮শে জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২২
শরিফুল হক পপি, কুষ্টিয়া:
এদিকে আবার এইসব ভাটাগুলোর কয়েকটিতে কয়লা ব্যবহার করা হলেও অধিকাংশ ভাটাগুলোই অদৃশ্য শক্তির বলে পোড়াচ্ছে কাঠ। অনেকে আবার কয়লা সাজিয়ে রেখে দিন-রাতে পোড়াচ্ছে কাঠ।
ইটভাটাগুলোর মধ্যে ১টি বৈধ ছাড়া ২৮ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর নোটিশ দিয়েছে বলে জানাগেছে।
দৌলতপুর উপজেলার অনেক ইটভাটায় মজুদ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছের গুলি।
উপজেলার স্বরুপপুর-বাজুডাঙ্গা এলাকার নুরী ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী বজলুর রহমান ওরফে কটা বলেছেন, আমার কোনো কাগজপত্র নাই। এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছি, ব্যবসা চালাতে কোনো সমস্যা হয় না।
এদিকে আবার এই উপজেলার শাদীপুরে ৫টি ইটভাটা রয়েছে, যে ভাটাগুলো দখল করে রেখেছে ফসলী মাঠ। এখানকার ভাটায় কয়লা পোড়ানোর ব্যবস্থা থাকলেও পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আবার এখানে ভাটাতেই কাঠ ফাঁড়ার মেশিন বসানো হয়েছে বলেও সুত্রে জানা যায়।
এখানকার আল সালেহ লাইফ লাইন ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী মামুন বলেছেন, আমার দুটি ভাটা, একটি কয়লায় চলে আরেকটি খড়িতে।
বিশ্বাস ব্রিকসের পরিচালক আনোয়ারুল জানান, মালিকদের ঐক্য নাই, যে যার মতো ছন্নছাড়া হয়ে ব্যবসা করছে। ইতিবাচকভাবে পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো অভিভাবক নেই, যে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
ডাংমড়কা এলাকার তিনটি ফসলের মাঠে ইটভাটা চারটি। ইট পোড়াতে সবাই নির্ভরশীল ফসলের ক্ষেতের মাটি এবং কাটা গাছের ওপর। এই এলাকায় নতুন ভাটা মালিক মোফাজ্জল হকও এগিয়েছে একই পথে, প্রথম লটেই গাছ পুড়িয়ে শুরু তাদের। ইতোমধ্যেই মজুদ করা হয়েছে কাটা গাছ।
উদ্যোক্তা ওলি এবং নজরুলের দুটি ভাটা। নজরুলের ভাটায় কয়লার আয়োজন থাকলেও ওলির ভাটা খড়ি নির্ভর। গলাকাটি এলাকায় তিনটি, বড়গাংদিয়ায় একটি, আদাবাড়িয়ায় একটি,খলিশাকুন্ডীতে একটি এবং জয়রামপুর-কল্যানপুর এলাকায় তিনটি ইটভাটা চলছে ফসলের ক্ষেতে।
চলতি মাসেও দাড়ের পাড়া, গোবর গাড়া, নারায়নপুর, বড়গাংদিয়া এলাকায় ফসলের ক্ষেতের মাটি কাটা হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে।
বিভিন্ন হিসাব মতে, কুষ্টিয়ার এই দৌলতপুর উপজেলায় ইট পোড়ানোর একেক মৌসুমেই কাটা গাছের প্রয়োজন হয় ১ লাখ টন, যার চলতি বাজার মূল্য অন্তত ৪০ কোটি টাকা।
এ সকল বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেছেন, এসব ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে, আমি দায়িত্বে আসার আগেই। তখন কিভাবে হয়েছে বলতে পারব না। সমস্যাটি সমাধানে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরদারি প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, ইটভাটার কালো ধোঁয়া এজমাসহ ফুসফুসের নানা জটিলতা তৈরি করে। দৌলতপুরে এ ধরণের রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেছেন, দৌলতপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া ইটভাটা একটি, বাকি ২৮টি অবৈধ। সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com