মাহবুবুল আলম
কোটাসংস্কার আন্দোলনের নামে সপ্তাহব্যাপী তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন দগদগে ঘা এবং ২ শতাধিকমানুষের রক্তের দাগ এখনো বিদ্যমান।
কোটাসংস্কার আন্দোলনের নেতারা কোটা আন্দোলনের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও সকলের মনেই প্রশ্ন কারা বা কোন অপশক্তি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশে এমন নারকীয় কান্ড ঘটালো।
কারাই বা অতিসাধারণ দাবির আন্দোলনকে সরকার হটানোর আন্দোলনের দিকে নিয়ে যেতে চাইলো তার সমীকরণকিছুতে মেলাতে পারছে না দেশপ্রেমিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিটি মানুষ!
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত কোটাসংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে কোটাসংস্কার আন্দোলনের আড়ালে সাধারণ ছাত্রীদের ব্যবহার করে সহিংসতা করা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
প্রথম দিকে এই আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণই কিন্তু পরবর্তীতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সরকার বিরোধী বিএনপি ও জামায়াত ও তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবির যোগদান করার পর থেকেই
আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। এই সহিংসতায় প্রাণ যায় ১৪৭ জনের আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। যা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। যারা মারা গেছে তারা কারও সন্তান, ভাই-বোন বা কারও প্রিয় মানুষ। যারা সহিংসতায় প্রাণ হারালো কোনোদিন তারা আর ফিরে আসবে না একথা ভাবতেই মনটা বিষণ্নতার ভারে জর্জরিত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সপ্তাহব্যাপী তাণ্ডবে বিসিএসআইআর, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন, রামপুরা বিটিভি ভবন, যাত্রাবাড়ীতে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোলপ্লাজা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা, মিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়াম;
ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন
সেতুভবনে ভাঙচুর ও আগুনে দেশের ক্ষতি হয়েছে
প্রায় লক্ষাধিক কোটি টাকার। যে ক্ষতি সহজেই পুষিয়ে নেবার নয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বেরিয়ে এসেছে কয়েকশত জঙ্গির কথাও। নরসিংদির জেলখানা ভেঙে বের করে নেয়া হয়েছে দাগী আসামীসহ ৮ দুর্ধর্ষ জঙ্গি সদস্যকেও। তাছাড়াও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শিবির ও ছাত্রদলের দুর্ধর্ষ ক্যাডারদের ঢাকায় এনে সহিংসতা ঘটানো হয় যারা সাধারণ ছাত্রদের সাথে মিশে চালিয়েছে ভয়াবহ তাণ্ডবলীলা, প্রাণঘাতি সহিংসতা।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জনাব আ.আ.ম.শ আরিফীন সিদ্দিকী তাঁর একটি লেখায় বলেন,” সরকারবিরোধী কিছু রাজনৈতিক দল তারা প্রকাশ্যে ছাত্র আন্দোলনকে প্ররোচিত করেছে। ছাত্রদের কোটা বাতিলের আন্দোলনকে অন্যদিকে প্ররোচিত করার অর্থই হচ্ছে, সরকারকে চরিতার্থ বা ব্যর্থ করতে চায়। কোটা আন্দোলনকে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যখন সহিংসতার দিকে গেল, তখনই বুঝতে হবে সরকারবিরোধী দলগুলো প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করল।”…আমরা ধারণা করেছিলাম, আন্দোলনকারীরা যেভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং সংযতভাবে আচরণ করছে। এই আন্দোলন কোনোভাবেই সহিংসতার দিকে যাবে না। আমি সারাটি জীবন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেই কাটিয়ে দিয়েছি। সে কারণেই এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আমি ভালোমতো জানি। তারা কখানো সহিংসতার দিকে যাবে, তা মনেও করিনি। ছাত্ররা শান্তিপূর্ণভাবেই দাবি আদায় করবে, এটাই আমরা ভেবেছি। ছাত্র আন্দোলন সেভাবেই চলছিল।”
এছাড়াও কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছে, ” রাস্তায় যেসব গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, বিটিভিতে আগুন, গাড়ি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অপকর্ম হয়েছে, তার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।” তারা যখন
বিষয়টি বুঝতে পারেন যে, তাদের আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে তখন তাদের তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
দেশবিরোধী চক্র এমন ধ্বংসাত্মক কাজগুলো করছে। রাস্তাঘাটের যে চিত্র দেখা গেছে, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন দিয়ে সহিংসতা করছে তারা ছাত্র ছিল না। এরা ছিল সরকারবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীসমর্থক, বস্তির ভাড়াটে মস্তান, দোকানপাটের কর্মচারি যুবক ও কিশোর বখাটেরা। এদের প্রায় সবাই ছিল ছাত্রদল ও শিবিরের ভাড়াটে লোক। সহিংসতাকারীদের বয়স এবং সহিংসতার আচরণ দেখে কারোই মনে হয়নি এরা ছাত্র-ছাত্রী হতে পারে।
আমরা সকলেই কম-বেশি জানি যে, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের একটি অংশ পূর্ব থেকেই সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারাই চেষ্টা করেছে কী করে আন্দোলন বাইরে ছড়িয়ে দেয়া যায়। ঠিক সেই সময়ই সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের পেশীশক্তি প্রদর্শন করার হটকারী সিদ্ধান্ত সরকার বিরোধীদের হাতে মওকা তুলে দেয়।
আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলনের শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায়। এরপর সেটা শাহবাগ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। সে সময় শিক্ষকদের একটি গ্রুপের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনাও চলছিল। কিন্তু কাদের ইন্ধনে এ আন্দোলন বাইরে ছড়িয়ে যায়, তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে গোয়েন্দারা যে কারণ খুঁজে পান তা হলো-যারা সত্যিকারের কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছিলেন, তারা চেয়েছিলেন আলোচনার মাধ্যমে সামাধান। কিন্তু একটা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন আর তাদের হাতে থাকেনি, সরকারবিরোধী শক্তি এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সহিংসতা ও তাণ্ডব শুরু করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকার হটানোর আন্দোলনে দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
দেশব্যাপী সহিংসতার ধরন দেখে কারোই বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই; কেননা শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে যে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে, তাদের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল তা সহজেই অনুমেয়। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, “যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, সেটা আগে থেকে প্রস্তুতি ছাড়া সম্ভব নয়। হুট করেই এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো যায় না। সরকারি স্থাপনাগুলোতে শত শত গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এগুলো পোড়াতে গান পাউডার ছাড়াও বিপুল পরিমাণ পেট্রোল ও কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয়েছে। সেগুলো আগে থেকে সংগ্রহে না থাকলে হুট করেই সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। ”
ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে অশুভ চক্রটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই দেশি-বিদেশি নানা চক্র সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তৎপর রয়েছে। নির্বাচন হয়ে গেলেও সে চক্র থেমে নেই, এমন কথা অনেক বার প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। ফলে এ আন্দোলন ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং এর পেছনে কারা অর্থ দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে সরকার।
কথা আছে দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজকে নিয়েও
যারা এ সরকারের আমলে বিভিন্নক্ষেত্রে বিশেষ আনুকূল্য পেয়ে আসছেন তারা নিজেদের তথাকথিত
নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছেন। তারা কেউ কোথাও দু’কলম লিখে
বলেননি সরকারতো ২০১৮ সালেই ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কোটাপ্রথা বাতিল করেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের রিটের প্রেক্ষিতে দেশের
উচ্চাদালত আবার সরকারি চাকুরিতে কোটাপ্রথা
ফিরিয়ে দেয়। আন্দোলন করলে আদালতের রায়ের
বিরুদ্ধে কর। তা না করে বরং সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে আটক কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করছেন। এ-ব্যাপারে সরকারকে দোষারোপ করে বক্তব্য বিবৃতি
দিয়ে আন্দোলনের আগুনে বাতাসে দিয়ে যান তারা। তাদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজও করেছেন বলেও বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে।
এখন আসি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিষ্ময়কর নির্লিপ্ততার কথায়। ২৫ জুলাই ২০২৪ বাংলা ইনসাইডার পোর্টালে এক প্রতিবেদনে বলেছে জুলাই তাণ্ডবের পর আওয়ামী লীগের হুশ
যেন এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আত্মজিজ্ঞাসা করছে, আত্মসমালোচনা করছে। সরকার টানা ক্ষমতায় রয়েছে। তারপরেও কেন আওয়ামী লীগ এ রকম বিপর্যস্ত হল, কোণঠাসা হয়ে পড়ল- সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা জনের নানা মত। আর এ নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে চলছে তোলপাড় এবং বিভিন্ন রকমের আলাপ আলোচনা, বিশ্লেষণ। অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতাই আওয়ামী লীগের বর্তমান সংকটের জন্য একটি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের অন্য যারা নেতা আছেন তারা সবাই গা বাঁচিয়ে চলতে চেয়েছেন, দায়সারা ভাবে দায়িত্ব পালন করেন।”
আর যারা টাকার বিনিময়ে নেতাদের ম্যানেজ করে বোল পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিল;
তারা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সরিয়ে পদ-পদবী বাগিয়ে দলের হালুয়ারুটি খেয়ে এই সময়ে সটকে
পড়েছে। আর ত্যাগী নেতাকর্মীরা হাহাকার করে
অশ্রুকলে বুক ভাসিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
প্রচারিত গুজবের জবাব দিতে সচেষ্ট ছিল।
সরকার সেনাবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামলে নিতে পারলেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে গুজবে গুজবে সয়লাব। গুজবে ছড়াতে কাজ করছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবির। ভয়ংকর সব গুজব ছড়িয়ে আবার আন্দোলনকে উসকে দেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাঁশের কেল্লা, টেলিগ্রাম চ্যানেল, ইয়থ কার্নিভালসহ কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রতিনিয়ত নানান গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে আন্দোলনকে আবারো চাঙা করতে নানারকম উসকানি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতি করে প্রচারণা চালাচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশের রিজার্ভ যেন না বাড়ে সেজন্য তৎপর অপশক্তিরা। রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আর তা নিজেদের
ওয়ালে শেয়ার করছে বিএনপি-জামায়াত
ও দেশে বিদেশে অবস্থানকারী সরকারবিরোধী কর্মী সমর্থকরা। সকলের নিশ্চয়ই মনে আছে নয় বছর আগে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে সেই গুজবের কথা। ছাত্রশিবিরের সেই গুজবে সহিংসতায় পাঁচ দিনে কেড়ে নিয়েছিল ৬৭ জনের প্রাণ। গুজবটি ছড়ানো হয়েছিল শিবির পরিচালিত ‘বাশের কেল্লা’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে। আবার তারা গুজবের বিনাশী খেলায় মেতে ওঠেছে। অথচ এসব গুজবের জবাব দিতে ব্যর্থ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের কেন এমন নিরবতা সত্যিই অবিশ্বাস্য? তারা যেন মুখে কুলুপ এটে বসে আছে।
পরিশেষে এই বলেই শেষ করতে চাই, কোথায় গেল পলকের সাইবার যোদ্ধারা, কোথায় গেল কাওয়ালীগ,
কোথায় গেল সুবিধালীগের নেতারা যারা ত্যাগী নেতা
কর্মীদের সরিয়ে পদ-পদবীসহ হালুয়া রুটি খেয়ে
মোটাতাজা হয়েছে? তারা সবাই কেন স্ত্রীদের আঁচলতলে মুখ লুকিয়ে রেখেছেন। লড়াইটা একাই লড়েছেন শেখ হাসিনা! আওয়ামীগের নেতাকর্মীদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ কোনোদিন কেউ দেখনি?
২৯ জুলাই ২০২৪
ডেট্রয়েট, মিশিগান, ইউএসএ
লেখক: কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও গবেষক।
সংবাদটি শেয়ার করুন