সদরুল আইনঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর-৩ আসন এলাকাসমুহে ইতিপূর্বে গঠিত আ.লীগের বিভিন্ন স্তরের কমিটি যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে থাকে তবে তা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা উচিৎ বলে দাবি উঠেছে খোদ দলের মধ্য থেকেই।
কারন গঠিত কমিটিসমুহ রাজনৈতিক মাঠে যথার্থ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে সাধারন ভোটাররা মনে করছেন।তাছাড়া তারা শুধু কার্যকরি ভূমিকা পালনেই ব্যর্থ হননি, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তাদের নির্লিপ্ততা,পরিচয়ের গন্ডিবিস্তৃত করে জনসেবা, সরকার ও বর্তমান এমপির বিশাল কর্মযজ্ঞকে জনসমুখে তুলে ধরতে কোনরুপ ভূমিকা রাখতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।
বিভিন্ন রকম অনুসন্ধান ও এদের বিগত বছরের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এসব কমিটি দলিয় কর্মকান্ড,সরকারের উন্নয়নচিত্র এবং এমপি ইকবাল হোসেন গৃহীত উন্নয়নচিত্র এবং রাজপথে এবং আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান এমপির পক্ষে তার কর্মসূচির পাশে কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না।
তাছাড়া সমন্বয়হীনতা, কমান্ড না মানা, কমিটিসমুহের সম্পাদক ও সদস্যরা একে অপরকে না চেনা, মিটিং না হওয়া এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্ত পদ পদবিকে অপব্যহার করে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ৩০ বছর পর বহু ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে এই আসনে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে।প্রথমবারের মত আ.লীগের মনোনয়ন পান জেলা আ.লীগের সফল সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ।
করোনাকালকে উপেক্ষা করে গণ-মানুষের মৌলিক দাবিসমুহ পূরণের পাশাপাশি চাঁদাবাজি,ভূমিদস্যূতা বন্ধ করে মাদকের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করে প্রশাসনকে চাপ ও হস্তক্ষেপ মুক্ত করে নিজস্ব নিয়মে পরিচালনা করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নজর কাড়েন তিনি।
গাজীপুর-৩ আসনে এই প্রথম পকেট কমিটির সংস্কৃতি ভেঙ্গে জনাকীর্ণ সম্মেলণের মাধ্যমে দলটির গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রিয় নেতাদের উপস্থিতিতে গ্রাম কমিটি থেকে জেলা কমিটি পর্যন্ত সকল কমিটি ( যুব লীগ ব্যতিত)গঠন করা হয়।
কিন্তু অধিকাংশ কমিটি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কার্যকরি ও জনকল্যাণমূলক কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালনে যথার্থ ভূমিকা পালন করেনি বলে জনমনে এমনকি দলের অভ্যন্তর থেকেও প্রশ্ন উঠেছে।
অনেক নেতা এ ব্যাপারে এই আসনের এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ এর নিকট বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিকার কামনা করেছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।তারা কমিটি সমুহ বিলুপ্ত করে কার্যকরি এডহক কমিটি গঠনের জোরালো দাবি তুলেছেন বলে সূত্রসমুহ এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে।
এ বছর অনুষ্ঠিত হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনে এই আসন থেকে আ.লীগের টিকেট পেতে এখন পর্যন্ত ৬ জন প্রার্থির নাম আলোচনায় আছে।তাছাড়া জাপা,স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি,জামাত ও অন্যান্য দল অংশগ্রহন করবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
দলিয় কর্মসূচি পালনে,রাজনৈতিক নানাবিধ কর্মকান্ডে আ.লীগের গঠিত কমিটিসমুহের উপস্থিতি হতাশাশাজনক।
যে কারনে নির্বাচনের আগেই এসব কমিটিসমুহ বিলুপ্ত করে মাঠে ময়দানে রাজপথে সক্রিয় নেতাদের সমন্বয়ে এডহক কমিটি গঠনের দাবি এই আসনে ক্রমশ: জোরালোরুপ ধারন করছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন