সঙ্গীত শিল্পী অপর্ণা খানের জন্মদিন আজ । তিনি কবিতাও লেখেন । জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোয়েট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সৌমিত্র দেব ।
খুব ছোটবেলা গান করেন অপর্ণা খান । তখন বাবার চাকরি সূত্রে খুলনায় থাকতেন। বাবা ফুড অফিসে চাকরি করতেন। খুলনা নজরুল একাডেমিতে প্রথম গান শিখতে শুরু করেন । ওস্তাদ ছিলেন রাশেদ উদ্দিন তালুকদার। তিনি ক্ল্যাসিক্যাল শেখাতেন।
নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা যখন শুরু হলো। খুলনা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন । এছাড়া খুলনায় যে সব প্রোগ্রাম হতো সেখানে গান করেছেন । রেডিওতে ছোটদের ‘কল্লোল’ নামে একটা অনুষ্ঠান হতো। সেখানে প্রোগ্রাম করতেন। খুলনায় সুন্দরবন কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানেও গান গেয়েছেন । ত বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায়ই গান শেখেন ।
কলেজে ওঠার পর গানের প্রতি ভালোবাসাটা তৈরি হলো অন্যরকম ভাবে। রবীন্দ্রনাথের গানের পরই আধুনিক গান তাকে ভীষণভাবে টানে।
সেই সময় একটি মাত্র টিভি চ্যানেল বিটিভি। সেখানে গান গাইলেন ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৪ সালে ঢাকা আসেন। বিটিভিতে অডিশন দিয়ে লিস্টেড হন।
একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে চারটা। প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হয় ২০০৩ সালে; তপন মাহমুদের সংগীতে ‘উতল হাওয়া’, ২০১২ সালে সুজয় শ্যাম দার পরিচালনায় প্রকাশ হয় ‘প্রতিদিও তব গাঁথা’ আর তৃতীয় অ্যালবামটি হলো অজয় মিত্রের পরিচালনায় ‘তুমি কেবলি স্বপন করেছ বপন’।
চতুর্থ অ্যালবামের কাজ চলছে। চতুর্থ অ্যালবামে রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি আধুনিক গানও করেছেন । এই অ্যালবামের সংগীত পরিচালনা করছেন বিনোদ রায়। মিশ্র অ্যালবামের জন্যও গেয়েছি। এছাড়া গানও লিখি মাঝে মধ্যে। আমার লেখা গানের সুরও করেছেন বিনোদ রায়। সেই গানটিও প্রকাশ হয়েছে।
তিনি শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে রবীন্দ্রনাথের গানের ওপর মাস্টার্স করেছেন । একটা গানের সংগঠন করেছেন । নাম ‘গানের খেয়া’। এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চান । গানের একাডেমি করতে চান । সেখানে গান শিখবে শিশুরা।