
সদরুল আইনঃ
কার্তিক মাস সবে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গ্রামীণ জনপদে বইতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া। বিকেল শেষে সন্ধ্যা হতেই আবছা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি।
সকালে ঘাসের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে।
ইতিমধ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চার পাশ। লতাপাতা, ধানের পাতা আর ঘাষে চকচক করছে ভোরের শিশির। সারা দিন একটু গরম অনুভূত হলেও দুপুরের পর রোদের তাপমাত্রা দিচ্ছে উষ্ণতার অনুভব। সন্ধ্যার পরেই শুরু হয় শীতের আমেজ।
ভোরের দিকে শিশির কণা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা।
ইতিমধ্যে গরিব ও অভাবী মানুষগুলো পুরোনো কাঁথা ও লেপতোশক নতুন করে সেলাই করে শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাতে সব বয়সি মানুষের শরীরে কাঁথা ও হালকা কম্বল জড়াতে হচ্ছে। শীতের সঙ্গে সঙ্গে আগাম সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টম্যাটো, লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ করেছেন। এ বছর আগাম শীত এসে যাওয়ায় অনেকের আশঙ্কা, পুরো শীত মৌসুমে এর তীব্রতা বেড়ে যাবে।
সকাল ৮ থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত দেখা মিলছে ঘন কুয়াশারও। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশিরবিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। রাতে সব বয়সি মানুষদের শরীরে হালকা কাঁথা ও কম্বল জড়াতে হচ্ছে।
এ অঞ্চলে আগাম শীতের দেখা পাওয়ায় পুরো শীতকাল আসা মাত্রই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবে। এদিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রান্তিক চাষিরা। কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টম্যাটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করতে শুরু করেছে।
আগমনী শীতের পদধ্বনীতে বদলে যেতে শুরু করেছে প্রকৃতি।রোগবালাই না ছড়ালেও প্রাদূর্ভাব যে আসবে তাতে সন্দেহ নেই।জীবনের সমীরনণে প্রকৃতি সাজবে শীতের তীব্রতাকে বুকে ধারন করে।এক চিরতে রোদের জন্য জনজীবনে থাকবে তীব্র আকাঙ্খা।
তবুও শীত কাঙ্খিত প্রেয়সীর মত জীবনবৃন্তে ভিন্নতার আবেশ জাগায়।হত দরিদ্রের কষ্ট হয় সত্য, তবুো নতুন ধানের মৌঁ মৌঁ গন্ধ,পিঠা পায়েস আর নিত্য নতুন সবজির সমারোহে জীবন থাকে বাগ্ময়।ষড় ঋতুর বাংলাদেশে ঋতু ও জীব বৈচিত্রে ঝলমল জনজীবন।প্রকৃতির বৈরীতার অপার লীলাকে বুকে ধারন করেই এগিয়ে চলেছে প্রিয় বাংলাদেশ।