জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে শেখ হাসিনা বলেছেন, চলতি বছরের শেষেই নির্বাচন হবে ৷ সংবিধান মেনেই এই প্রক্রিয়া কার্যকর করবে সরকার ৷ সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৭টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিশদ বর্ণনা প্রাধান্য পেয়েছে।
ভাষণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এই কমিশন ইতোমধ্যে দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কিছু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।’
‘আমি আশা করি, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘কোনো কোনো মহল আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে পারে। আপনাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণ অশান্তি চান না। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন-এটা আর এ দেশের জনগণ মেনে নিবেন না।’
জনগণের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারাই সকল ক্ষমতার মালিক। কাজেই লক্ষ্য আপনাদেরই ঠিক করতে হবে, আপনারা কী চান! আপনারা কি দেশকে সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখতে চান, না বাংলাদেশ আবার পিছনের দিকে চলুক, তা-ই দেখতে চান? একবার ভাবুন তো, মাত্র ১০ বছর আগে দেশের অবস্থানটা কোথায় ছিল?’
‘আপনারা কি চান না আপনার সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হোক? আপনারা কি চান না প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাক! আপনারা কি চান না প্রতিটি গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হোক! মানুষ দু’বেলা পেট পুরে খেতে পাক! শান্তিতে জীবনযাপন করুক!’
বাংলাদেশের সমস্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে তিনি আশা করেন এর আগে বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছিল ৷ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার চাইছেন৷ তবে শেখ হাসিনার ভাষণে ইঙ্গিত, কোনওভাবেই বিএনপির দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না ৷
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের চেহারা কেমন হবে তা নিয়ে বিরোধী দল বিএনপির তরফ থেকে নানা রকমের দাবি তোলা হচ্ছে । এদিনের ভাষণে তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷
তিনি বলেছেন, কোন কোন মহল আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে পারে। জনগণ অশান্তি চান না। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন-এটা আর জনগণ মেনে নেবে না।
প্রধানমন্ত্রী জানান, কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বতোভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন