সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আশফাক আহমদ বলেছেন, চা-বাগানের অবহেলিত সমাজের উচ্চ শিক্ষিত এবং যোগ্যতা ছেলে মেয়েরা আজ সরকারী চাকুরী থেকে বঞ্চিত। দেশের নাগরিক হিসেবে একজন যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে যেকোনো দপ্তরে কর্মসংস্থানের অধিকার আছে। কিন্তু চা বাগানের শ্রমিকদের সন্তানরা সঠিকভাবে নিজেদের ঠিকানা দিতে না পারায় যথাযোগ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকদের শিক্ষিত ছেলেমেয়ো পুলিশে যেতে পারেন না, বিচার বিভাগেও চাকরির জন্য যেতে পারেন না। এই অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের আন্দোলন করা দরকার। যাতে করে আপনাদের নামে দলিল না হওয়া পর্যন্ত সরকারী চাকুরীতে বাঁধা না হয়। যতদিন চা শ্রমিকরা থাকবে, আওয়ামীলীগ, শেখ হাসিনা ততদিন আপনাদের পাশে থাকবে। শ্রমিকরা তাদের নেয্য অধিকার পাবে। এটাই শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ। মালিকানা চুক্তি হওয়ার পরেও কেন তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা সেটা আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। কেউ যদি দায়ী থাকে আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবো যাতে তারা এটি খতিয়ে দেখে সেটা অনতি বিলম্বে যাতে বাস্তবায়ন করে। সরকার নেতৃত্ব দেবে এই শ্রমিকদের পক্ষে। আমরা সরকারী দলের রাজনীতির সাথে জরিত আছি। কিন্তু আপনরাই মুল চাবিকাঠি এবং আপনাদের দেয়া সমর্থন নিয়ে আমরা দেশ পরিচালনা করতে পারছি। আপনারা অধিকার দিয়েছেন বলেই বর্তমান সরকার আপনাদের পাশে আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
গতকাল রোববার উত্তর সিলেট ভ্যালীর ২২টি চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের উদ্যোগে মজুরী বৃদ্ধি সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সহ ১০দফা দাবী আদায়য়ের লক্ষে সিলেট-তামাবিল সড়কে র্যালী পরবর্তী সদর উপজেলা কার্যালয়ের অডিটিলিয়ামে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসমস্ত কথা বলেন।
মালনী ছড়া চা বাগানের সভাপতি রতিলাল কালোয়ার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উত্তর সিলেট ভ্যালীর সভাপতি রাজু গেীয়ালা, সর্দার যোগারীর সভাপতি দোলন কর্মকার, সাবেক সভাপতি শ্রীবাস মাহালী, দলদলি চা-বাগানের রমেশ মুক্তা। সভায় মোহনলাল কর্মকার বুলু ও সুশান্ত চাষার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বরজান চা কারখনার প্রদীপ ছত্রী, খাদিম চা-বানারে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সবুজ তাতী, হিলুয়া ছড়ার বিমল গঞ্জু, মালনী ছড়ার শাজাৎ হোসেন, বরজান চা কারখানার জররাম কুর্মী, গুলনী চা বাগানের মৃতুঞ্জয় কুর্মী, জাফলং চা-বাগানের সাবরেনা মাহালী, বরজান চা কারখানার অজিত দেব, বেলা ছত্রী প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
সংবাদটি শেয়ার করুন