১০ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন মানের মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৪৩ থেকে ৫২ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল কেজি প্রতি ৪২ থেকে ৫৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এসব চাল কেজি প্রতি ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্বর্ণা, পাইজাম, লতা ও চায়নার মতো মোটা চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাইজাম ও লতা ৪০ থেকে ৪২ টাকায় এবং স্বর্ণা প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিকন ধানের মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। পাটের বস্তায় চাল বাজারজাতকরণের ফলে খরচ বেড়ে যাওয়ায়ও দাম বেড়েছে। তবে মোটা ধানের সরবরাহ বাড়ায় চালের দাম বাড়েনি।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চিনি এবং রসুনের দামও। তবে কমেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার প্রতি কেজি চিনি ১ টাকা বেড়ে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার এসব রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় পাওয়া গেছে।
এদিন আলু বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মান ও আকার ভেদে ২২ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, “গত এক মাসে সরু ধানের দাম মণে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে।
“চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় সরু চালের দাম একটু বেড়েছে। সরু চালের বিশেষ চাহিদাও সবসময় থাকে। যে কারণে দামও একটু বেড়েছে।”
বর্তমানে প্রতি মণ চিকন ধান ১০১৫ থেকে ১০২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান জয়পুরহাটের এই ব্যবসায়ী।
দুই কারণে চালের দাম বাড়ছে জানিয়ে চালকল মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, “প্রথমত মৌসুম শেষ হলে প্রতি বছরই এক টাকা বা কমবেশি দাম বাড়ে। এবার এর সাথে যোগ হয়েছে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাটের বস্তায় চাল বাজারজাতকরণ।”
পাটের বস্তার কারণে খরচ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে প্লাস্টিকের একটি ব্যাগ কিনতে ১৪ থেকে ১৫ টাকা লাগতো। এখন একেকটি পাটের বস্তা কিনতে লাগছে ৬০ টাকা। অর্থাৎ পাটের বস্তার কারণে খরচ বেড়েছে ৪৫ টাকা। এখানেই কেজিতে প্রায় ৮০ পয়সা দাম বেড়ে যাচ্ছে।”
দিনাজপুর জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, “চালের দাম কেজিতে ১ থেকে দেড় টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে বস্তার কারণে বেড়েছে ৮০ পয়সা। অর্থাৎ ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে বললে ঠিক বলা হবে না।”
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “পাটের বস্তার খরচ বাড়ার কথা মিল মালিকরা বলছেন। এজন্য দামও কিছু বেশি রাখছে। তবে মোটা চালে দাম বাড়েনি।”
মোটা চালের দাম না বাড়ার কারণ জানতে চাইলে চালকল মালিক সমিতির নেতা শহীদুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, “মোটা চালের সরবরাহ বেড়েছে। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের হাতে যে ধান আছে তা বাজারে আসছে। যে কারণে মোটা ধানের দাম কম।
চালের মোট চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ চিকন চাল বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com